UsharAlo logo
সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তিনফসলি কৃষিজমি ধ্বংস করে কোন কিছু করা যাবে

pial
সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২ ৪:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তিনফসলি কৃষিজমি ধ্বংস করে কোন কিছু করা যাবেনা। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে অমান্য করে ভুল তথ্য পরিবেশন করে বাণীশান্তার উর্বর কৃষিজমিতে বালু ফেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন করলে দেড় হাজার ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবার বাস্তুচ্যুত হবে।

পাশাপাশি তাদের জীবন-জীবিকা হুমকিতে পড়বে। কাজেই বন্দর কর্তৃপক্ষ মিথ্যাচার পরিহার করে বিকল্প স্থানে ড্রেজিংয়ের বালু ফেলে মানুষের জীবন-জীবিকা ও দেড় হাজার সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবার রক্ষায় যথাযথ উদ্যোগ নিবে। মোংলা বন্দর উন্নয়নের স্বার্থে জমি দরকার। বন্দরের উন্নয়ন হলে এর উপকারভোগী হবে এই অ লেরই মানুষ। কিন্তু দুই বছরের জন্য হুকুমদখল করা হলেও সেই জমি দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে প্রান্তিক মানুষের জীবন-জীবিকার অন্যতম সংস্থান পুকুর, জলাশয়, মৎস্যসম্পদ ও গবাদি প্রাণীও ক্ষতির সম্মুখীন হবে। জনউদ্যোগ, খুলনার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বক্তারা এসব কথা বলেন।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টায় কনসেন্স মিলনায়নে জনউদ্যোগ, খুলনার আয়োজনে দাকোপের বাণীশান্তায় তিন ফসলি জমিতে বালু না ফেলে বিকল্প জমিতে বালু ফেলার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নাগরিক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ফ ম মহসীন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ফসলি জমি ছাড়া একজন কৃষক অস্তিত্বহীনই বলা যায়। খুলনার দাকোপ উপজেলার পশুর নদের পারে বাণীশান্তা ইউনিয়নের কৃষকেরা তেমন অস্তিত্বহীনতায় ভুগছেন। কারণ, তাঁদের জমির ওপর মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ পশুর নদ খননের বালু ফেলতে চায়। এর জন্য জেলা প্রশাসন সেখানকার ৩০০ একর জমি হুকুমদখল করেছে, তাও কৃষকদের মতামতকে অগ্রাহ্য করেই। সেখানে বালু ফেলার জন্য কার্যক্রম শুরু করার তৎপরতা চালাচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তিনি আরো বলেন, বিকল্প জায়গায় খননের বালু ফেলা হোক। বিকল্প কিছু জায়গার প্রস্তাবও স্থানী জনগণ বন্দর কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে।

সেখানকার স্থানীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান , কোনো জনপ্রতিনিধিই কৃষিজমিতে বালু ফেলার পক্ষে নন। ফলে এরপরও সেখানে বালু ফেলা একপ্রকার গোঁয়াতুমি ছেড়ে প্রশাসন ও বন্দর কর্তৃপক্ষ জনগণের সিদ্ধান্ত দেবেন এমন দাবি করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিবির মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর সভাপতি মফিদুল ইসলাম, খুলনা পোল্ট্রি ফিস ফিড দোকান শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব প্রাণীপ্রেমী সোহরাব হোসেন, খুলনা উন্নয়ন ফোরামের কো- চেয়ারপাসন ডা: সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, কনসেন্সের নিবাহী পরিচালক সেলিম বুলবুল, সম্মিলিত রাইটাস ফোরাম খুলনার সাধারণ সম্পাদক নূরুন নাহার হীরা। সূচনা বক্তব্য দেন জনউদ্যোগ খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন।

(ঊষার আলো-এফএসপি)