ঊষার আলো ডেস্ক : সোমবার (৩০ মে) সকাল ১০টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২ উপলক্ষ্যে বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়, খুলনার আয়োজনে ৪ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বলেন, তথ্য-উপাত্ত নির্ভুল হলে যথাযথভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ সম্ভব হয়। একটি দেশের জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য-উপাত্তকে ভিত্তি করেই ভবিষ্যৎ উন্নয়ন, পরিকল্পনা ও কৌশল গ্রহণ করা হয়। জাতির উন্নয়নে এটি একটি ভিত্তিস্বরূপ। সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে এ বছর যে জনশুমারি ও গৃহগণনার উদ্যোগ নিয়েছে তা বৈপ্লবিক ও অসাধারণ। সম্পদের সুষম বণ্টন এবং উন্নয়নে হালনাগাদ তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বর্তমান অবস্থায় বাংলাদেশের আর্থিক, সামাজিক ও অন্যান্য অবস্থা ও সূচকের কি ধরনের অগ্রগতি বা পরিবর্তন হয়েছে তা এই জনশুমারি ও গৃহগণনার পর প্রাপ্ত ফলাফলে জানা যাবে। এর ওপরেই ভিত্তি করে রচিত হবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নানামুখী পরিকল্পনা। তাই এই শুমারি সফলভাবে সম্পন্নে সকলের সহযোগিতা করা উচিত। জনশুমারি সঠিকভাবে সম্পন্নে বিবিএস বিভিন্ন পর্যায়ে যে প্রশিক্ষণ ও সমন্বয়ের উদ্যোগ নিয়েছেন তা অত্যন্ত বাস্তবধর্মী। এর ফলে এই শুমারী কার্যকরভাবে সফল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রশিক্ষণের ভেন্যু নির্বাচনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান কার্যালয়ের যুগ্ম পরিচালক মো. আশরাফুল আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা শুমারি সমন্বয়কারী মো. জুবায়ের হোসেন। তারা এই শুমারির গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেন। এই প্রশিক্ষণে ৬৫ জন ইউসিসি, জোনাল অফিসার ও আইটি সুপারভাইজার অংশগ্রহণ করছেন।
(ঊষার আলো-এফএসপি)