সোহেল সানি : রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের শেষ আগস্টের কর্মব্যস্ত দিনগুলো কেমন কাটাচ্ছিলেন? রাষ্ট্রপতি আগস্টের প্রথম সপ্তাহের চেয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহে বেশি কর্মব্যস্ত ছিলেন। এসময় বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন একাধিক রাষ্ট্রদূত, কয়েকজন মন্ত্রী- আমলা, নেতা এবং তিন বাহিনী প্রধান।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসাবে দায়িত্বগ্রহণের পর বঙ্গবন্ধুর থাকার কথা সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে। কিন্তু প্রিয়তম সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রিয় ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর সড়কের বাড়ি ছেড়ে বঙ্গভবনে যেতে চাইলেন না।
ফলে এ অরক্ষিত বাড়ি থেকে প্রতিদিন সকাল নয়টায় গণভবনে যেতেন রাষ্ট্রপতি। ছোট সুসজ্জিত হাউস গার্ড দল রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানাতো। সে সময়ে গণভবনের (পরবর্তীতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়) পেছনের প্রশস্ত দরজা দিয়ে রাষ্ট্রপতি উপরে যেতেন। দোতলাতেই অফিসকক্ষে বসে দৈনন্দিন কাজকর্ম সম্পন্ন করতেন। দুপুরে খাওয়ার পর একটু বিশ্রাম নিতেন। বিকেল চারটার দিকে হাঁটতেন গণভবন – প্রাঙ্গণে লেকের ধারে।
ওখানে চেয়ারে বসে মাছ দেখতেন এবং নিজ হাতে খাবার ছিটিয়ে দিতেন। তাঁর নির্দেশেই ওই লেকে প্রচুর মাছ ছাড়া হয়েছিল। ওই সময়টা বঙ্গবন্ধু অনেকটা রিল্যাক্সড মুডে থাকতেন। অনেক নেতা তখন হাজির হয়ে বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্যলাভ করতেন। রাত নয়টা পর্যন্ত গণভবনে কাটাতেন। সোমবার আগেই চলে যেতেন। যাতে ওদিন টিভিতে বাংলা সিনেমা দেখতে পারে গণভবনের কর্মচারীরা।
বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ দুটি সপ্তাহের কর্মসূচি তুলে ধরা হলে তাঁর কর্মময় জীবন সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যাবে। প্রতিনিয়ত আসতেন ডিআইজি স্পেশাল ব্রাঞ্চ। সামরিক সচিব কর্নেল জামিল ছাড়াও প্রায় প্রতিনিয়ত পররাষ্ট্র সচিব ফখরুদ্দিন আহমেদ রাষ্ট্রপতির মুখোমুখি হতেন। প্রতিদিন
সকাল নয়টায় রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গণভবনে প্রবেশ করতেন। যথারীতি সুসজ্জিত হাউস গার্ড দলের অভিবাদন গ্রহণ করে দোতলায় নিজ অফিস কক্ষে প্রবেশ করতেন।
পহেলা আগস্ট (শুক্রবার) অ্যাডঃ আবেদুর রেজা খানের নেতৃত্বে ঢাকা বারের ১৯৩, শিল্প ব্যাংকের এমডি এ এইচ এম কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে ৪১২, বাংলাদেশ বিমানের ৩৩৩১, গৃহনির্মাণ সংস্থার ১৫৮ কর্মকর্তা কর্মচারী বাকশালে যোগদান করতে আবেদনপত্র নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
২ আগস্ট (শনিবার) ন্যাপ (ভাসানী) অন্যতম নেতা আজাদ সুলতানের নেতৃত্বে ৪৫০ নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করে বাকশালে যোগদানের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। বঙ্গবন্ধুর পরামর্শে ঢাকার সার্কিট হাউস রোডস্থ বাকশাল অফিসে গিয়ে তারা দলের অন্যতম সম্পাদক শেখ ফজলুল হক মনির কাছে আবেদনপত্রগুলো জমা দেন।
৩ আগস্ট (রোববার) আশুগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও জামালপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য ১৩২ কিলো ভোল্ট লাইনের উদ্বোধন করা হয়।
৪ আগস্ট (সোমবার) বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি ও বাকশাল চেয়ারম্যান হিসেবে দেশের ৬১টি জেলা কমিটির সম্পাদক ও সহ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন।
৫ আগস্ট (মঙ্গলবার) বঙ্গবন্ধু বাকশাল নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করেন।
৬ আগস্ট (বুধবার) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের বাসভবনে বোমা হামলা চালানো হলে ৩ জন নিহত হয়। বঙ্গবন্ধু সাঁড়াশি অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন।
সাত আগস্ট (বৃহস্পতিবার) প্রথমেই সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্র সচিব ফখরুদ্দিন আহমেদ। সাড়ে নয়টায় সাক্ষাৎ করেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এটিনি সতার।
সকাল সাড়ে দশটায় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক নূরুল ইসলাম চৌধুরী প্রায় আধাঘন্টা ধরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে কথা বলেন। এগারোটায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন জেনেভা কনভেনশনে যোগদানের সফর কর্মসূচি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। দুপুর বারোটার দিকে বঙ্গবন্ধু সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বানিজ্য ও পাট প্রতিমন্ত্রী দেওয়ান ফরিদ গাজী।
বিকাল সাড়ে পাঁচটায় দেখা করেন ভারতের হাইকমিশনার সমর সেন। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায়
সাত আগস্ট সর্বশেষ সাক্ষাতপ্রার্থী ছিলেন কাজী মোজাম্মেল হক এমপি। এর দশমিনিট আগে সাক্ষাৎ করেন জাতীয় কৃষক লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য আব্দুল আউয়াল।
আট আগস্ট (শুক্রবার) সকাল সাড়ে দশটায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রেলওয়ে প্রতিমন্ত্রী। এক ঘন্টা পর সাক্ষাৎ করে বিদ্যুৎ, মৎস্য, বন, পানি ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রী আব্দুর রব সেরনিয়াবাত (বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি)।
ওদিন নৌ ও জাহাজ চলাচল মন্ত্রী হিসাবে বাকশাল সরকারে যোগদান করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী। বিকেল সাড়ে পাঁচটায় তিনি শপথ গ্রহণ করেন। বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী ১৯৭৪ সালে রাষ্ট্রপতি পদ ছেড়ে দিয়ে পূর্ণ মন্ত্রীর মর্যাদায় বৈদেশিক দূত হিসাবে দায়িত্বপালনরত ছিলেন।
৯ আগস্ট (শনিবার) সকাল দশটায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গণভবনে আসেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ড . স্যামষ্ট্রীট। এগারোটার দিকে সাক্ষাৎ করেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক নূরুল ইসলাম চৌধুরী ও সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম। সন্ধ্যা ছয়টায় বাকশালের অন্যতম সম্পাদক ও অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এমপি। সোয়া ছয়টার দিকে সাক্ষাৎ করেন তৎকালীন এর্টনী জেনারেল।
১১ আগস্ট সোমবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সকাল সাড়ে এগারোটায় সাক্ষাৎ করেন গিয়াস উদ্দিন এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় দ্বিতীয় কর্মকমিশনের সদস্য আযহারুল ইসলাম।
১১ আগস্ট পশ্চিম জার্মানিতে স্বামী ডঃ এম এ ওয়াজেদ মিয়ার কাছে বেড়াতে যাওয়া শেখ হাসিনা বাসায় ফোন করেন। মায়ের সঙ্গে কথা বলেন। নাতি জয়, নাতনি পুতুল ও মেয়ে শেখ রেহানাকে নিয়ে ঢাকায় ফিরতে তাগিদ দেন। ফোনালাপে মা মেয়েকে কেঁদে বলেন ” তোর আব্বা আমাকে শেখ শহীদের বিয়েতে যেতে দেয়নি – আমার একটা মাত্র বোনের ছেলে। যাহোক মা-মেয়ের মধ্যে এটাই ছিল জীবনের শেষ কথা। বঙ্গবন্ধুকে মেয়ের ফোনালাপের কথা অবহিত করেন বেগম মুজিব।
১২ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল দশটায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন অর্থমন্ত্রী ড. আজিজুর রহমান মল্লিক। সন্ধ্যা ছয়টায় কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েটের অধ্যাপক এ এফ এ হোসেন।
১৩ আগস্ট (বুধবার) সকাল এগারোটায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রে নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এম আর সিদ্দিকী। সন্ধ্যা ছয়টায় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং সাড়ে ছয়টায় সাক্ষাৎ করেন চাঁদপুরের এম এ রব।
১৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) এই দিনটিই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের শেষ কর্মদিবস। এদিন রাষ্ট্রপতি ব্যস্ততম দিন পার করেন। সকাল পৌনে দশটায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি পার্ক চুং হির বিশেষ দূত সাক্ষাৎ করেন।
সকাল দশটায় আসেন নৌ বাহিনী প্রধান মোশাররফ হোসেন খান। সাড়ে দশটায় সাক্ষাৎ করেন তথ্য ও বেতার মন্ত্রী এম কোরবান আলী। এরপর পরই এগারোটায় দিকে এক সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক নূরুল ইসলাম চৌধুরী ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার বীর উত্তম। সাড়ে এগারোটার দিকে সদ্য বাকশালে যোগদানকারী পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী লীগ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী আতাউর রহমান খানের দুই মেয়ে। লন্ডনে চিকিৎসাধীন প্রবীন নেতা আতাউর রহমান খানের চিকিৎসার খোঁজ খবর নিতেই রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর বাসায় বার্তা পাঠান। এ কারণে তাঁর দুই কন্যা দেখা করতে আসেন রাষ্ট্রপতির সঙ্গে।
পৌনে ছয়টায় আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আবদুল মতিন চৌধুরী। ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির সম্মানে অনুষ্ঠিতব্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করার জন্য উপাচার্যের এ সাক্ষাৎ। সন্ধ্যা ছয়টায় সর্বশেষ সাক্ষাৎ করেন শিক্ষামন্ত্রী ড. মুজাফফর আহমদ চৌধুরী ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব। তাঁরা মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানের যাবতীয় কর্মসূচি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
এর আগে দুপুরে কৈ মাছ দিয়ে ভাত খান। রাষ্ট্রপতি খাবার খেয়ে একটু বিশ্রাম করেন। বিকেল সাড়ে চার টার দিকে গণভবনের লেকের ধারে যান। একটু পর সেখানে এসে হাজির হন তথ্য ও বেতার প্রতিমন্ত্রী তাহের উদ্দিন ঠাকুর। পাশে থাকা চেয়ারে বঙ্গবন্ধু তাকে বসতে বলেন। ওই সময় লেকে সাঁতার শিখছিল রাষ্ট্রপতির শিশুপুত্র শেখ রাসেল। সাঁতার প্রশিক্ষক ছিলেন একজন নায়েক সুবাদার। বঙ্গবন্ধু রাসেলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “উনি তোমাকে সাঁতার শিখাচ্ছেন সেজন্য ওনাকে তোমার তো কিছু উপহার দেয়া উচিত।” রাসেল হেসে আবার সাঁতার কাটতে চলে যায়। তাহের উদ্দিন ঠাকুর যাবার সময় রাসেলকে ধরে চুমো খেয়ে আদর করেন এবং পরক্ষণেই চলে যান। এর পরপরই আসেন শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ মোজাফফর আহমদ চৌধুরী ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মোকাম্মেল হক। মোকাম্মেল হক রাষ্ট্রপতিকে একটি মানপত্র দেখান। যা পরের দিন ১৫ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সম্মানে শিক্ষার্থীরা পাঠ করবে। পরক্ষণেই এসে হাজির হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ডঃ আব্দুল মতিন চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাদের অবহিত করেন। একটু পর আসেন অন্যতম মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত।
রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব কর্নেল জামিল এসে দেখা করেন। তিনি ডিজিএফআইয়ের প্রধান হিসাবে নিয়োগ পাওয়ায় মূলত বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে দোয়া চাইতে আসেন।
রাষ্ট্রপতির অত্যন্ত স্নেহভাজন ফরাসউদ্দীন আহমদ ও মনোয়ারুল ইসলাম উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাচ্ছিলেন। এজন্য ১৪ আগস্ট রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের কর্মকর্তারা একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু সাড়ে আটটার দিকে নিজ বাসভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন একান্ত সচিব রেজাউল হায়াত।
গণভবনে যারা রাষ্ট্রপতি নির্দেশে কর্মতৎপর ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন, এইচ টি ইমাম, ড. এম এ আব্দুস সামাদ, আব্দুর রহিম, কর্নেল জামিল, ফরাশউদ্দিন, ড. মশিউর রহমান, ড. সৈয়দ আব্দুস সামাদ, ড. ফজলুল হাসান ইউসুফ, আবদুল করিম, সৈয়দ রেজাউল হায়াত, নূরুল ইসলাম, মনোয়ারুল ইসলাম, আব্দুল তোয়াব খান, আবদুল মালেক, মকবুল হোসেন, মাহফুজুস সোবহান, সৈয়দ আমিনুর রহমান প্রমুখ।
এই চৌদ্দ আগস্ট দিবাগত রাতে অর্থাৎ পনেরো আগস্ট সেনাবাহিনীর উচ্চ বিলাসী ও উচ্ছৃঙ্খল একদল নরপশুর হাতে প্রায় সপরিবারে নিহত হন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
লেখক ঃ সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ইতিহাস বিশেষজ্ঞ।