‘দুর্যোগের পূর্বাভাস প্রস্তুতি, বাঁচায় প্রাণ ক্ষয়ক্ষতি’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা আজ (সোমবার) সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগ প্রবণ দেশ। দুর্যোগ বলে-কয়ে আসে না। দুর্যোগের আগে প্রস্তুতি থাকলে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি কম হয়। কিছু দুর্যোগ মানব সৃষ্ট। সড়ক দুর্ঘটনার মতো মানবসৃষ্ট দুর্যোগ প্রতিনিয়ত ঘটছে। একটি দুর্ঘটনায় পুরো পরিবার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেন, দুর্যোগের পূর্বে প্রস্তুতি হিসেবে এবং দুর্যোগকালে আমাদের করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় করাই আজকের আলোচনার মূল লক্ষ্য। অনেক সময় বাসা-বাড়িতে গ্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুন লাগার মতো ঘটনা ঘটছে। প্রাথমিক পর্যায়ে গ্যাসের সিলিন্ডারের আগুন নেভানো খুবই সহজ কিন্তু আগুণ ছড়িয়ে পড়লে তা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক কঠিন। এক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা তৈরি করা প্রয়োজন। দুর্যোগকালে ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে নিয়ে আসতে সচেতনতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোঃ শরিফুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (খুলনা জোন) শিহাব করিম, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মোঃ আবু বকর জামান, সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা এস কে এম তাছাদুজ্জামান, সিভিল সার্জন দপ্তরের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ, সহকারী আবহাওয়াবিদ মোঃ মিজানুর রহমান-সহ এনজিও প্রতিনিধিরা বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও এনজিও প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে খুলনা কালেক্টরেট চত্বরে দিবসটি উপলক্ষ্যে অগ্নিকান্ড ও ভূমিকম্প থেকে আত্মরক্ষার্থে করণীয় বিষয়ক মহড়া প্রদর্শন করা হয়।
ঊআ-বিএস