অফিস কার্যক্রম চললেও খুলনার শিরোমনি বিআরটিসির বাস ডিপো অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। মঙ্গলবার কার্যদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ছাড়াই চলেছে দাফতরিক কার্যক্রম। এদিন একাধিকবার অফিস চত্বরে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে এমনকি বেলা ৩ টার সময়ে গিয়েও দেখা যায় উত্তোলন করা হয়নি জাতীয় পতাকা ।
বিধি মোতাবেক ছুটির দিন ব্যতীত সব কার্যদিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সরকারি নির্দেশনা থাকলেও খুলনার শিরোমনি বিআরটিসির বাস ডিপো অফিসে প্রায়ই এর ব্যত্যয় ঘটে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মঙ্গলবার দুপুরে বিআরটিসি অফিসে যাওয়া যোগিপোল এলাকার বাসিন্দা কামরুল বলেন, এখানে সরকারিভাবে ড্রাইভিং শিখানো হয় জেনে খোজখবর নিতে এসেছিলাম । এসে দেখি অফিসের পতাকার খুঁটি ফাঁকা পড়ে আছে। কিছুটা থমকে গিয়েছিলাম। পরে দেখছি অফিসে স্বাভাবিক কাজকর্ম চলছে। বিআরটিসি অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত আছেন। কিন্তু তারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেননি।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করতে ভুলে যান। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। গিলাতলা এলাকার বাসিন্দা তুহিন মিয়া বলেন ‘আমি একটা জরুরী কাজের জন্য অফিসে এসেছি খোজ খবর নেওয়ার জন্য , কিন্তু দেখে খুবই অস্বস্তি লাগছে, এই অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। অথচ পতাকা লাগানোর খুঁটি দাঁড়িয়ে আছে। এটা খুবই দুঃখজনক। পতাকা আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক। জাতীয় পতাকার বিষয়ে সবার গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
একই দিন দুপুরে বিআরটিসি বাস ডিপো কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের প্রবেশ পথের পাশেই জাতীয় পতাকা লাগানোর খুঁটি থাকলেও তাতে পতাকা নেই। খুলনার শিরোমনি বিআরটিসির বাস ডিপোর ম্যানেজার মোঃ রাজু মোল্লা বলেন পতাকা উত্তোলনের দায়িত্ব কমান্ডারের কিন্তু কেন উত্তোলন করেনি এটা আমি বলতে পারবোনা খোজ খবর নিয়ে দেখছি। খানজাহান আলী থানা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইজ্ঞিল কাজী বলেন সরকারি অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়না এটা দুখঃজনক অতিদ্রত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করার দাবি জানান তিনি।