UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জানুয়ারি মাসের তুলনায় খুলনার গুদামে চালের মজুদ দ্বিগুণ

koushikkln
মার্চ ২১, ২০২১ ৭:১০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

এম এন আলী শিপলু : জানুয়ারি মাসের তুলনায় খুলনার ১০টি খাদ্য গুদামে চালের মজুদ দ্বিগুণ বেড়েছে। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি হওয়ায় বাজারের উর্ধ্বগতি কমেছে। খুলনার দু’টি কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদামসহ আটটি উপজেলা পর্যায়ের গুদামে ১০ হাজার ৭শ’ ২৭ মেট্টিক টন চাল মজুদ রয়েছে। জানুয়ারি মাসের তুলনায় মার্চ মাসে মোটা ও চিকন চালের মূল্য কেজি প্রতি গড়ে দু’ থেকে তিন টাকা করে কমেছে। বাজার মূল্য স্থিতি রাখতে খুলনা মহানগর এলাকার ২০টি পয়েন্টে ওএমএস’র চাল বিক্রি হচ্ছে।
জানুয়ারি মাসে স্থানীয় মিস্ত্রীপাড়া ও বড়বাজারে প্রতি কেজি স্বর্ণা চালের মূল্য ৪১-৪৩ টাকা এবং মিনিকেট চাল ৬১-৬৩ টাকা দরে বিক্রি হয়।
খাদ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, মার্চ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে মোটা চাল ৪১-৪২ টাকা দরে এবং মিনিকেট ৫৯-৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়। এদিকে চালের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকারের আমদানিকৃত চালের প্রথম চালান ফেব্রুয়ারি মাসে মোংলা বন্দরে পৌঁছায়। আমদানিকৃত চাল খুলনার কেন্দ্রীয় খাদ্য গুদাম ছাড়াও উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয়। আমদানিকৃত চাল পুলিশ, নৌ-বাহিনী, বিজেপি, আনসার ও জেলখানায় সরবরাহ করা হয়। সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর খুলনা নগরীর আটটি প্রতিষ্ঠানকে চাল আমাদানির অনুমতি দিয়েছে। অনুমতিপ্রাপ্ত আমদানিকারকরা প্রথম চালানের ৬০ শতাংশ ইতিমধ্যেই আমদানি করেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়িদের সূত্র জানায়, সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমানি করার ফলে মূল্যও কমতে শুরু করেছে।
শেখপাড়া বাজারের ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম খোকন জানান, খুলনা নগরীর ২০টি পয়েন্টে ওএমএস’র চাল দেয়ার পর থেকে মূল্য কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, বিশেষ করে স্বর্না জাতের চাল কেজি প্রতি গড়ে দেড় টাকা থেকে দুই টাকা কমেছে। আগামী মাসের শেষদিকে বাজারে বোরো আসতে শুরু করবে। ফলে দাম আরও কমবে।
খুলনা জেলা সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা জানান, ৫ জানুয়ারি থেকে শিপইয়ার্ড, চাঁনমারী, নতুন বাজার, জোড়াকল বাজার, মিস্ত্রীপাড়া বাজার, নিউ মার্কেট ছোট বয়রা, আলমনগর এলাকাসহ ২০টি পয়েন্টে সপ্তাহের ৬দিন ২০ মেট্টিক টন করে চাল বিক্রি হচ্ছে। ওএমএস’র এ চালের মূল্য কেজি প্রতি ৩০ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, খুলনায় ৫৭ হাজার হেক্টর বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৬০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। ২লাখ ৫৭ হাজার মেট্টিক টন ধান উৎপাদন হবে। চালের দাম কমাতে উল্লেখিত জমির মধ্যে ৩৬ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের আবাদ হয়েছে।