তথ্যবিবরণী : খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির নভেম্বর মাসের সভা আজ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভব দৃশ্যমান হচ্ছে। খুলনায় সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগ শনাক্তের ব্যবস্থা রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় খুলনা জেলার নয়টি উপজেলা ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় মোট ১৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিগত সেপ্টেম্বর মাস থেকে এপর্যন্ত খুলনায় মোট সাতশত ৩০ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এবং সাত জন মৃত্যু বরণ করেছেন। জেলায় এ পর্যন্ত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের দুই লাখ ৫৫ হাজার পাঁচশত সাতজন শিশুকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ প্রদান করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভীর আহমদ সভায় জানান, জেলায় চুরির ঘটনা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এর সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে। নভেম্বর মাসে আদালত থেকে পাওয়া ছয়শত ৭৭টি ওয়ারেন্টের বিপরীতে এপর্যন্ত চারশত ৩৭টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুজ্জামান মাসুদ সভায় জানান, মধুমতি নদীর উপর কালনা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ার ফলে ঐ পথে খুলনার সাথে ঢাকার দুরত্ব অনেকটা কমেছে। ফুলতলা উপজেলার সিকিরহাট নামক স্থানে চলমান ফেরিঘাট স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলে সড়ক পথ ব্যবহার করে ঐ পথে সহজেই খুলনা থেকে ঢাকা যাওয়া যাবে।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, খুলনাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসময় মশার বংশ বিস্তাররোধে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা পরিষদগুলোকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক। খুলনায় শব্দ দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শব্দ দূষণের কারণে মানুষের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। শব্দ দূষণরোধে পরিবেশ অধিদপ্তরসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কাজ করতে পারে। খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের অসমাপ্ত কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেন তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাদিকুর রহমান খান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
(ঊষার আলো-এফএসপি)