ক্রীড়া প্রতিবেদক : জেলা ফুটবল এসোসিয়েশন খুলনা আয়োজিত এবং বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু সিনিয়র ডিভিশন ফুটবল লীগে দিনের একমাত্র ম্যাচে জয় পেয়েছে ঐতিহ্যবাহি টাউন ক্লাব।
শুক্রবার (১৯ আগস্ট) জেলা স্টেডিয়ামে বিকেল ৪টায় দিনের একমাত্র ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে শক্তিশালী বলাকা স্পোটিং ক্লাব ও ঐতিহ্যবাহি টাউন ক্লাব। খেলায় ঐতিহ্যবাহি টাউন ক্লাব ৩-২ গোলে বলাকা স্পোটিং ক্লাবকে পরাজিত করে। এদিন উভয় দলের ছিল শেষ খেলা। রেলিগেশন বাঁচাতে জয় ছাড়া টাউন ক্লাবের কোন বিকল্প ছিল না। পক্ষান্তরে বলাকার প্রয়োজন ছিল ড্র। মাঠে নামার আগে ৫ খেলায় টাউন ক্লাবের ছিল ৩ পয়েন্ট এবং বলাকার ছিল ৪। এ জয়ে টাউন ক্লাবের পয়েন্ট হলো ৬। বলাকা স্পোটিং ক্লাবকে রেলিগেশন থেকে বাঁচাতে শনিবার ব্রাদার্স ও রেডসান ক্লাবের ম্যাচের ফলাফলের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে।
শক্তির বিবেচনায় সমান থেকে খেলা শুরু করে উভয় দল। চলতে থাকে আক্রমন-পাল্টা আক্রমন। ৭ মিনিটের মাথায় টাউনের ১১নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় আরঙ্গ গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় (১-০)। গোল হজম করে সমতার আশায় আক্রমন শুরু করে বলাকা। একর পর এক আক্রমন করতে থাকে তারা। ৩৫ মিনিটের সময় বলাকার ৩নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় স্বপন গোল করে খেলায় সমতা আনে (১-১)। সমতা নিয়ে বিরতীতে যায় উভয় দল। বিরতী থেকে ফিরে উভয় দলই আক্রমন-পাল্টা আক্রমন করতে থাকে। সে সময় খেলা চলে মধ্য মাঠে। তবে অন্যান্য দিনের থেকে মাঠ ছিল অনেক ভাল। মাঠে ছিল না কোন পানি বা কাদা। মাঠে রোলার দেয়ায় মাঠ ছিল সমান্তরাল। খেলোয়াড়দের খেলতে অনেকটা সুবিধা হয়েছে। যেহেতু উভয় দলেরই ছিল রেলিগেশন সেভের লড়াই তাই খেলোয়াড়দের মাঝে ছিল ক্ষিপ্রতা। এ সময় বল পজিশনে এগিয়ে ছিল বলাকা। ৬৪ মিনিটের সময় বলাকার ১২নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সবুজ গোল করে দলকে লিড এনে দেয় (২-১)। পিছিয়ে পড়ে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে আক্রমন শুরু করে টাউন। ফলও পায় তারা। ৭২ মিনিটের সময় টাউনের ১২নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় সুজন গোল করে খেলায় সমতা আনে (২-২)। সমতা নিয়ে উভয় দল জয়ের আশায় আক্রমনাত্বক খেলা শুরু করে। সময় যতই শেষের দিকে আগায় ততই উভয় দলের খেলোয়াড়রা গোল মিস করতে থাকে। তবে শেষ হাঁসি হাসে টাউন ক্লাব। ৭৬ মিনিটের সময় টাউনের ৫নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় রাফসান গোল করে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় (৩-২)। শেষ বাঁশি বাজার আগে বলাকার আক্রমন ভাগের খেলোয়াড়রা গোলের সুযোগ না হারালে হয়তো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারতো। খেলাটি পরিচালনা করেন রেফারী মোশাররফ হোসেন, আলী আকবর, আকিব জাভেদ ও জসিম উদ্দিন। ম্যাচ কমিশনার ছিলেন আমানত আলী হালদার। খেলাটির মনোমুগ্ধকর ধারাভাষ্য ছিলেন এডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী ও এডভোকেট প্রজেশ রায়।
মাঠে উপস্থিত ছিলেন জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. ইউসুফ আলী, কোষাধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম খান কালু, কার্যনির্বাহী সদস্য ও লীগ কমিটির সম্পাদক সুজন আহমেদ ও সদস্য ও লীগ কমিটির সহ-সম্পাদক মনিরুজ্জামান মহসীন। ২০ আগস্ট শনিবার জেলা স্টেডিয়ামে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৪টায় দিনের একমাত্র ম্যাচে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ঐতিহ্যবাহি ব্রাদার্স ইউনিয়ন ও শক্তিশালী ইয়ং রেডসান ক্লাব।