UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডাবল মার্ডার: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন

pial
সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২ ৩:২০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : খুলনার তেরখাদা উপজেলার আলোচিত ডাবল মার্ডার মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম দ্বীন ইসলামসহ মোট ১৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা, আর অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, তথ্য প্রমান না থাকায় মামলার দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন বিচারক।

আজ রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের বিচারক মো. নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতেই উপস্থিত ছিলেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- তেরোখাদা ছাগলাদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম দ্বীন ইসলাম (৫৪), মো. আব্দুর রহমান (৫৫), জমির শেখ (২৫), শেখ সাইফুল ইসলাম (৩৫), খালিদ শেখ (৩২), এস্কেন্দার শেখ (৪২), জসিম শেখ (৩৫), হোসেন শেখ (৩০), জিয়ারুল শেখ (২৬), বাহারুল শেখ (২৪), আব্বাস শেখ (২৪), অহিদুল গাজী (৩৪), খাইরুল শেখ (৩৫), কেরামত মল্লিক (৩৫), মাহবুর শেখ (৪৯), বাবু শেখ (৩৫) ও নুর ইসলাম শেখ (৩৭)।

আর খালাস প্রাপ্তরা হলেন- আবু সাঈদ বিশ্বাস (৩৫) ও আয়েব শেখ (৫০)।

অন্যদিকে, মামলার রায় শোনার জন্য তেরখাদা ছাগলাদাহ ইউনিয়ন থেকে কয়েক হাজার মানুষ আদালত চত্ত্বরে ভিড় করেন। সেসময় নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য আদালতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৬ আগস্টে রাতের বেলা তেরখাদা উপজেলার পহরডাঙ্গা গ্রামের পিরু শেখ ও তার পরিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে রাত ২টার দিকে আসামিরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে বাড়ির সিধ কেটে ভুক্তভোগীদের ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় আব্দুর রহমানের নির্দেশে আসামি সাইফুল হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে পিরুর মাথাতে কোপ দেন। পরে অন্য আসামিরা পিরুকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে। পিরু ও তার স্ত্রীর চিৎকার করতে থাকলে পাশের ঘর হতে ছেলে নাইম বাবাকে রক্ষার জন্য এগিয়ে আসেন। সে এসময় আসামিরা নাইমকে বাড়ির উঠানে নিয়ে যায়। আসামি খালিদ শেখ ফলাযুক্ত ফুলকুচি দিয়ে নাইমের মাথায় কোপ দেন। সে যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকলে আসামি হাবিবুর ও জিয়ারুল চাপাতি দিয়ে নাইমকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

এরপরে গুরুতর অবস্থায় পিরু শেখকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসা করানোর জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিরু শেখ মারা যান। পরে নিহত পিরুর স্ত্রী ঘটনার দু’দিন পর বাদী হয়ে তেরখাদা থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ নাম না জানা আরও ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

(ঊষার আলো-এফএসপি)