UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুবোজান টাইটানের বিস্ফোরণ অনিবার্য ছিল?

ঊষার আলো ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ ৯:০৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে গত বছরের ১৮ জুন বিস্ফোরিত হয় ডুবোযান টাইটান। বিস্ফোরণের সময় ৫ জন আরোহী ছিলেন যানটিতে। টাইটানিকের কাছাকাছি চলেও গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু টাইটানিক দেখার সৌভাগ্য তাদের হয়নি।টাইটানিকের মতো তারাও গভীর সমুদ্রে হারিয়ে যান।

ধ্বংসপ্রাপ্ত টাইটান সাবমারসিবলের প্রাক্তন অপারেশন ডিরেক্টর ডেভিড লোচরিজ বলেছেন, ডুবোযান টাইটানের বিস্ফোরন অনিবার্য ছিল কারণ, টাইটান পরিচালনাকারী ফার্মটি (ওশানগেট) কোনো আদর্শ নিয়ম অনুসরণ করে নি।

লোচরিজ ইউএস কোস্ট গার্ড তদন্তকারীদের কাছে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তিনি ২০১৮ সালে বরখাস্ত হওয়ার আগে সম্ভাব্য নিরাপত্তা সমস্যার বিষয়ে ওশানগেটকে সতর্ক করেছিলেন, কিন্তু তখন তাকে উপেক্ষা করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) লোচরিজ এই সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত বছর টাইটান বিস্ফোরিত হওয়ার পর এই প্রথম প্রকাশ্যে কথা বললেন তিনি।

লোচরিজকে ওশানগেট থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল কোম্পানির গোপন তথ্য প্রকাশের জন্য। তার বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল ফার্মটি। পরে লোচরিজ অন্যায়ভাবে বরখাস্তের জন্য পাল্টা মামলা করেছিলেন।

মার্কিন আদালতের প্রকাশ করা নথিগুলি থেকে দেখা যায় টাইটানের নকশা নিয়ে উদ্বেগ ছিল লোচরিজের। ডুবোজানে ব্যবহৃত কার্বন ফাইবার প্রতিটি ডাইভের সাথে যানটির আরও ক্ষতি করবে বলে ওশানগেটকে সতর্ক করেছিলেন তিনি।

তিনি মার্কিন কোস্ট গার্ড তদন্তকারীদের বলেছেন, ওশানগেটের পুরো কার্যক্রম অর্থ উপার্জনের জন্য। ফার্মটি বিজ্ঞানসম্মত উপায় খুব কম অবলম্বন করেছিল বলে জানিয়েছেন লোচরিজ।

লোচরিজ কোম্পানি এবং এর সিইওকে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, কোম্পানি টাইটান সাবমারসিবল উন্নতির জন্য ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করতে অস্বীকার করেছিল। বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা ছাড়াই তারা টাইটানের কাজ সম্পন্ন করেছিল।

লোচরিজ বলেন, “তারা মনে করে সঠিক প্রকৌশল সহায়তা ছাড় তারা নিজেরাই টাইটানের কাজ সম্পন্ন করতে পারে। ”  তিনি আরও উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালে কোম্পানির সাথে তার সম্পর্ক ভেঙে যেতে শুরু করেছিল কারণ তিনি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। স্পষ্টভাবে কোম্পানির সমস্যা তুলে ধরার কারণে তাকে “সমস্যা সৃষ্টিকারী” হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছিল বলেও জানান তিনি।

২০২১ থেকে ২০২২ সালের ভিতর টাইটান মোট ১৩ বার সমুদ্রের গভীরে যায়, এসময় ডুবোজাহাজটির সরঞ্জামে মোট ১১৮ রকম সমস্যা ছিল। এছাড়া ব্যাটারি ফুরিয়ে যাওয়া এবং ডুবোযানের ভিতর যাত্রীদের ২৭ ঘন্টার জন্য ভিতরে আটকে থাকার মতো ঘটনাও ঘটেছিল।

উল্লেখ্য, ডুবোযান টাইটান বিস্ফোরিত হওয়ার পর ওশানগেট সমস্ত অনুসন্ধান ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্থগিত করেছে।