মঙ্গলবার সকালে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন এর মা মরহুমা সাহেরা খাতুনের জানাযার নামাজ বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার চুনখোলা গ্রামের নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত জানাযায় অংশগ্রহণ করেন কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবাসহ কেএমপি’র উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ। এসময় পুলিশ কমিশনার খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের হাতে একটি শোক বার্তা হস্তান্তর করেন।
উল্লেখ্য যে, গত ২২ জানুয়ারি সোমবার মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন এর মা সাহেরা খাতুন বিকালে শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, খুলনায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি সন্তান-সন্ততিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মরহুমা সাহেরা খাতুন একজন রত্নগর্ভা মা ছিলেন। তিনি ০৬ পুত্র এবং ০২ কন্যা সন্তানের জননী। রত্নগর্ভা এই মায়ের ভেতরকার গুণাবলী, যোগ্যতা, স্বপ্ন ও ব্যক্তিত্ব তার সন্তানসহ পরবর্তী প্রজন্মের ভেতরেও প্রবাহিত হয়েছে। তার ০৬ পুত্রের মধ্যে বড় পুত্র মোঃ বাবুল হোসেন মোল্লা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার; ২য় পুত্র মোঃ শাহজাহান মোল্লা একজন রাজনীতিবিদ, স্বনামধন্য ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট সমাজসেবক; ৩য় পুত্র মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত ,বর্তমানে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) হিসেবে কর্মরত; ৪র্থ পুত্র মোল্লা আলমগীর হোসেন খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানায় সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত; ৫ম পুত্র মোল্লা জাকির হোসেন গাজীপুর হাইওয়ে পুলিশে পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত; ৬ষ্ঠ পুত্র মোল্লা আজাদ হোসেন বরিশাল ১০ এপিবিএন এর পুলিশ সুপার হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সাথে দেশ মাতৃকার সেবা করে যাচ্ছেন। তার ৬ষ্ঠ পুত্র মোল্লা আজাদ হোসেনের সহধর্মিণী নাহিদ সুলতানা বাগেরহাটে জেলার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে কর্মরত। ০২ কন্যা সন্তানের মধ্যে মোসাঃ কানিজ ফাতিমা ঢাকার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত এবং মোসাঃ নিলুফা ইয়াসমিন গৃহিণী। এই মহিয়সী নারীর সন্তানরা শুধু নয় তার নাতী-নাতনি এবং নাতিদের স্ত্রীরা ও আজ দেশের বিভিন্ন সেক্টরে স্বনামে প্রতিষ্ঠিত। মরহুমার নাতি রুহুল কুদ্দুস এবং রুহুল কুদ্দুসের স্ত্রী প্রকৃতি লেফটেন্যান্ট পদে বাংলাদেশ নৌ-বাহিনীতে কর্মরত। তার অপর নাতি মেজর সাব্বির রংপুর সি এম এইচ এ স্বনামধন্য চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত আছেন।
মরহমার জানাযায় কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, বিপিএম-সেবা; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ইএন্ডডি) মোঃ কামরুল ইসলাম; ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (আরসিডি) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী; অতিঃ ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) পলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন্ হাছান, পিপিএম-সেবা; সহকারি পুলিশ কমিশনার (ফোর্স) খোন্দকার সাদ্দাদুল বাকী, কেএমপি’র বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, বিশিষ্ট সামজ সেবক, গুণীজন এবং মরহুমার সন্তান-সন্ততি, অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুনগ্রাহী সহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অসংখ্য মানুষ অংশ নিয়ে মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন।