তালা প্রতিনিধি : জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে তালার মাছিয়াড়া গ্রামে দরিদ্র বৃদ্ধা সুখজান বিবির বসতঘর ভাংচুর করে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। এ সময় বাঁধা দেয়ায় সুখজান বিবি (৭০) ও তার পুত্রবধূ রাবেয়া বেগম (৩৮) কে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। এছাড়া দুর্বৃত্তদের হামলাকালে প্রতিবেশির বাড়ি ভাংচুর, লুটতরাজ ও তান্ডব চালানোর অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগীরা। ঘটনায় গুরুতর আহত বৃদ্ধা সুখজান বিবিকে তালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার মাছিয়াড়া গ্রামের নাসির উদ্দীন ঢালী জানান, পৈত্রিক ও খরিদা সূত্রে প্রাপ্ত ২০ শতক জমিতে তারা বসতবাড়ি নির্মানপূর্বক দীর্ঘ প্রায় ৪০/৪৫ বছর যাবত বিধি মোতাবেক ভোগ-দখল করে আসছে। এই জমির একাংশে ১৫/২০ দিন পূর্বে তার বৃদ্ধা মাতা সুখজান বিবির জন্য একটি বসত ঘর নির্মাণ করা হয়। সেখানে বৃদ্ধা সুখজান বিবি বসবাস করেন। কিন্তু ভোগদখলীয় ২০ শতক জমির মধ্যে ১২শতক জমি নিজেদের দাবি করে প্রতিবেশী মৃত. কোমর উদ্দীন ঢালীর ছেলে হারুন ঢালী গং কিছদিন পূর্ব থেকে বিরোধ শুরু করে।
নাসির ঢালী বলেন, সোমবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বাড়ির পুরুষরা মাঠে কাজ করতে যাবার সুযোগে প্রতিপক্ষ হারুন ঢালী (৩৭) ও তার ভাই আছাদুল ঢালী (৩৫) এবং শহিদুল গাজীর ছেলে আলামিন গাজী (৩৩) ৮/১০ জন ভাড়াটিয়া দুর্বৃত্ত নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে বৃদ্ধার বসত ঘরটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। হামলাকারী এসময় তান্ডব চালিয়ে ঘরের চাল, বেড়া, দরজাসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে বসত ঘরের স্থানকে মুহুর্তেই ফাঁকা জমিতে পরিণত করে যায়। ওই হামলার ঘটনায় বাঁধা দিলে দুর্বৃত্তরা নাসির উদ্দীন ঢালীর বৃদ্ধা মাতা সুখজান বিবি, স্ত্রী রাবেয়া বেগম এবং পুত্র রায়হান ঢালীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে বলে অভিযোগে জানানো হয়। পরে গুরুতর আহত বৃদ্ধা সুখজান বিবিকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় নাসিরের স্ত্রী রাবেয়া বেগম বাদী হয়ে তালা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত হারুন ঢালী লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই জমি আমাদের। সেখানে নাসির ঢালী চুরি করে খুটি ও বেড়া দিয়ে ঘর বেঁধেছিল। এজন্য আজ তা উচ্ছেদ করে দিয়েছি।
এ ঘটনায় তালা থানার ওসি মো, মেহেদী রাসেল বলেন, এ বিষয়ে এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)