বছরে প্রথম সপ্তাহে ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে কাপছে খুলনাঞ্চল। গত শুক্রবার থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা রয়েছে খুলনা। সে সাথে কনকনে ঠান্ডা বাতাসে থাকায় কেউ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না। আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) খুলনায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন শনিবার রের্কড করা হয় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগের দিনের চেয়ে খুলনায় তাপমাত্রা দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস কম ছিলো। আর শুক্রবার খুলনায় তাপমাত্রা ছিলো ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রতিদিনই পারদের মতো খুলনায় তাপমাত্রা উঠা নামা করছে। খুলনার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবীদ মো: মিজানুর রহমান বলেন, আজ রোববার খুলনায় দুপুর ৩টা পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মোংলায় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সাতক্ষীরায় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যশোরে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, চুয়াডাঙ্গায় ১২ ডিগ্রি, কুমারখালীতে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি এবং কয়রা ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এর আগের দিনের চেয়ে খুলনায় দশমিক এক ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম ছিলো। এছাড়া গত দিনের চেয়ে সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কয়রায় দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কম রের্কড করা হয়েছে। তিনি বলেন, কাল ( সোমবার) ও মঙ্গলবার এই দুই দিনে তাপমাত্রা একটু বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। এরপর থেকেই আবারও খুলনায় তাপমাত্রা কমার সম্ভনা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আজ রোববার দুপুর ৩টা পর্যন্ত দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় তেতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত শুক্রবার থেকে খুলনায় সূর্যের তেমন দেখা মেলেনি। গতকাল ভোর থেকেই খুলনায় কুয়াশায় ঘেরা ছিলো। সেই সাথে কনকনে বাতাসে শীতের তিব্রতা আরও বেড়ে যায়। খেটে খাওয়া মানুষেরা জীবিকার তাগিদে তিব্র শীতে বের হচ্ছেন। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি হিমেল হাওয়ায় কারণে শীতে মানুষ কাবু হয়ে যাচ্ছেন। শীতের কাপড় কিনতে ফুটপথে ভিড় করছেন হতদরিদ্র মানুষেরা।
ঊ/আ-এইচআর