নাসরীন জাহান লিপি : সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে সরকার। যে কোনো সরকারের জন্য ক্রমবর্ধমান সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত তরুণ জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির চ্যালেঞ্জ হিমালয় পাহাড়ের চেয়েও বিশাল যদি বলি, তাহলেও কম বলা হয়। এর ফলে পিওনের চাকুরির জন্য এম এ পাশ তরুণ লাখ লাখ টাকার ঘুষ দিতে অতি আগ্রহী, ঘুষ নিতে আগ্রহী নানা স্তরের অংশীদারদের প্রকাশ্য দুর্নীতি-হয়রানি কেবল পত্রিকার পাতায় শিরোনাম হয়েছে, তা নয়।
সামাজিক ব্যবস্থায় দৃঢ় ভিত্তি পেয়ে যায় সত্যিকার অর্থে কোনো কাজে না আসা সার্টিফিকেটধারী তরুণ জনগোষ্ঠীর নিদারুণ অপচয়ের উৎসব। মানবের ভারে বিপদগ্রস্ত প্রিয় বাংলাদেশ, এ্যাতো মানুষ নিয়ে কী করবে দেশটা, এইসব দুঃশ্চিন্তা তৈরিকারী বাক্য বোঝার মতো ঘাড়ে বসে যেত আমাদের। ইউরোপ-আমেরিকায় মানুষ কম, জমি বেশি- ওরা তো উন্নতি করবেই। আমাদের সম্পদ কম, জনগণ বেশি- আমাদের উন্নতির আশা দুরাশা মাত্র। কাজেই, মেয়ের বিয়ে দেবার বেলায় হোক্ আর ছেলের চাকরির বেলায় হোক্, আমরা টেবিল মোছা পিওন কিংবা বড়জোর কেরানী মানবের স্বপ্ন না দেখে পারিনি। সরকারের সাফল্য বলতেও বুঝেছি, দারিদ্র প্রদর্শন করে কে কত বেশি ভিক্ষার দান আনতে পারেন বিদেশ থেকে। এর ফলে যে দেশের ভাবমূর্তি ভিক্ষুক ছাড়া আর কিছুতে দাঁড়ায় না, তা বুঝলেও আমাদের আত্মসম্মানে লাগেনি। গরীবের সম্মান থাকে না- এই আপ্তবাক্য আমাদের মেরুদণ্ডকে কিছুতেই লাল-সবুজ পতাকা বহনকারী দণ্ডে পরিণত হতে দেয়নি। বাঙালিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতে পেরেছিলেন যিনি, তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় নত হয়ে বলি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কেবল একজন নেতা ছিলেন না, তাঁর বিশ্বাস ও আত্মসম্মানবোধ যদি সব বাঙালির বুক আর পিঠে ঠাঁই নিতে পারত, এই বাংলাদেশ সত্যিই ধন্য হ’ত। আমাদের সৌভাগ্য, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর বিশ্বাস ও আত্মসম্মানকে বুকে ও পিঠে ঠাঁই দিতে পেরেছেন এবং বিপুল জনগোষ্ঠীর ভারে নুইয়ে পড়া বাংলাদেশের বুকে ও পিঠে শক্তি জোগানোর জন্য বলেছিলেন, এই জনসংখ্যা বোঝা নয়, সম্পদে পরিণত করতে হবে। মানবসম্পদ শব্দটি একটু একটু করে পাঁপড়ি মেলতে শুরু করল। আমরা বুঝতে শিখলাম, সার্টিফিকেটধারী তথাকথিত শিক্ষিত সন্তান বানিয়ে কোনো লাভ নেই। নিজের উপার্জনের উপায় নিজেই করতে পারে, এমনভাবে দক্ষতা অর্জন করতে পারা সন্তানই আসলে ভারমুক্ত পরিবারের জন্য সম্পদ। এই ব্যাখ্যা কাজে পরিণত করতে হাজির হয়ে গেল ডিজিটাল বাংলাদেশ। তরুণরা পেয়ে গেল নিজের উপার্জনের উপায় নিজে করার হাজারো উপায়। অন্যের অধীনে চাকরি করবে, এমন ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসা শুরু হ’ল। আরও অনেকের উপার্জনের উপায় বাতলে দেওয়া উদ্যোক্তা হতে চাওয়া তরুণের দেখা পাওয়া শুরু হ’ল। আলাদিনের চেরাগ পেয়ে গেলাম আমরা!
ডিজিটাল বাংলাদেশ বিশ্বে অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয় এখন। প্রথম হওয়া স্রেফ সময়ের ব্যাপার। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। কেননা, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ মোটেও পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ৫ লাখ ৮৫ হাজার জনকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলেছে। দেশে এখন সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার আছেন সাড়ে ৬ লাখ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের একটি প্রকল্পের নাম লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এলআইসিটি) প্রকল্প। সারা দেশে তরুণ-তরুণীদের বেসিক ফাউন্ডেশন স্কিলস গড়ে তুলতে, সরকারি কর্মকর্তাদের সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে, ফেসবুকের সাথে যৌথভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে এবং কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরদের টপ-আপ আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। আমাদের তরুণরা ইউরোপ-আমেরিকার তরুণদের সাথে পাল্লা দিতে পারছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা অ্যানালাইটিকস, রোবটিকস, অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর), ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটিসহ (ভিআর) অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ২৪টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে। এই প্রকল্পের আওতায় ফার্স্ট ট্র্যাক ফিউচার লিডার (এফটিএফএল) কর্মসূচি আছে, যার মডেল হচ্ছে হায়ার অ্যান্ড ট্রেইন মডেল। এর ফলে প্রশিক্ষণ যারা নিচ্ছেন, তাদের সবারই চাকরি হয়ে যাচ্ছে। আইসিটি বিভাগের ৬টি আঞ্চলিক কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তরুণরা। ফলে ঢাকাকেন্দ্রিক দক্ষতা গড়ে তোলার চাপ আর নিতে হচ্ছে না এখন। বেসিক স্কিল ট্রান্সফার আপ টু উপজেলা লেভেল প্রকল্পের আওতায় উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন উপজেলাবাসী তরুণ-তরুণীরা।
কেবল জনগোষ্ঠীকে দক্ষ বানালেই তো হবে না। প্রতিষ্ঠানগুলোকে দক্ষ মানবসম্পদের উপযোগী করে গড়ে তোলার চ্যালেঞ্জও নিয়েছে বাংলাদেশ। আইটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যম এবং শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রথম সারির আইটি কোম্পানিগুলোকে নিবিড়ভাবে নিরীক্ষা করে নির্বাচিত কোম্পানিগুলোর সিএক্সও লেভেলের নির্বাহীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, যাতে তারা ঢাকা ও সিঙ্গাপুরে ব্যবসা সম্প্রসারণে দক্ষ হয়ে ওঠেন। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কেবল দেশভিত্তিক প্রশিক্ষণ নয়, বিদেশেও প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ই-গভর্ন্যান্স, সাইবার সিকিউরিটি, দেশে স্থাপিত সরকারি নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ, সফটওয়্যার কোয়ালিটি পরীক্ষার মতো জরুরি বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা বিদেশেও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
করোনা মহামারীর সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়ার সংবাদ দেখতে দেখতে যারা হতাশ, তাদেরকে বলছি। এই দুঃসময়েও বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন প্রশিক্ষণ ‘কোরসেরা (Coursera) ট্রেনিং প্লাটফর্মের সহায়তায় ৪ হাজার কোর্সে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হয়েছেন ৫ হাজার মানুষ। আইটি পেশাজীবিদের জন্য অনলাইন পোর্টাল ‘বিডিস্কিলস’ চালু হয়েছে, যার ঠিকানা-bdskills.gov.bd এই পোর্টালে নিয়মিত চাকরি মেলার খবর মিলছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর সাথে সরাসরি সংযোগ ঘটছে দক্ষ তরুণের। দক্ষতা যাচাই করে কোম্পানিগুলো তরুণদের চাকরি দিচ্ছেন। পিওনের চাকুরির জন্য এম এ পাশ তরুন লাখ লাখ টাকার ঘুষ দিতে এখন আর আগ্রহী নন। ঘুষ নিতে আগ্রহী নানা স্তরের অংশীদারদের বিলুপ্তি ঘটছে। সামাজিক ব্যবস্থায় এই সত্য প্রথিত হয়ে গেলেই পুরোপুরি বদলে যাবে দৃশ্যপট। ফ্রিল্যান্সার তরুণের বাবা-মা যেদিন সন্তানকে নিয়ে গর্ব করতে শিখবেন, সরকারি অফিসে পিওন-কেরানী বানানোর স্বপ্ন দেখা বন্ধ করবেন, সেদিন সম্ভব হবে এসব। দুর্নীতমুক্ত আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এভাবেই সম্ভব হয়ে ওঠা স্বপ্ন দেখাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। এই স্বপ্নের আওতায় আছেন নারীরা, এ পর্যন্ত ১০১১ জন নারী উদ্যোক্তাকে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আছেন প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের প্রথম ইনক্লুসিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করার কাজ চলছে। অর্থাৎ, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে পড়বেন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠবে ইনক্লুসিভ, যেখানে সবাই সমান সুবিধা নিয়ে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকবে তথ্য ও সেবাকেন্দ্র। প্রযুক্তিগত সেবা দেবে ই-পরিসেবা। বাক প্রতিবন্ধীরা পাবেন স্বল্পমূল্যের ডিভাইস। থাকবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের জন্য মাল্টিমিডিয়া টকিং বুক। দেশের সকল ওয়েবসাইট প্রতিবন্ধীবান্ধব করতে একটি ওয়েব অ্যাসেসিবিলিটি টুলকিট তৈরির জন্য চ্যালেঞ্জ ফান্ড দেওয়া হয়েছে। কেবল নারীর ক্ষমতায়ন নয়, সকল ধরণের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির ক্ষমতায়নে বিশ্বে রোল মডেল হয়ে উঠছে বাংলাদেশ। বিনা ফিসহ যাতায়াত, আবাসন ভাতা এবং কোর্স উপকরণ সরবরাহের সুবিধা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে তথ্যপ্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে সরকার। আছে প্রতিবন্ধীদের জন্য চাকরি মেলা। আইটি শিল্পের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, এনজিওসহ অনেক চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করে এবং সারা দেশ থেকে আসা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি দেয়।
খুব কঠিন নয় কিন্তু কাজগুলো। দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এবং নিরক্ষরদের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ১০৯টি পাঠ্যবইয়ের ডিজিটাল টকিং বুক চালু হয়ে গেছে। দেশের অভিভাবক শেখ হাসিনা ইনক্লুসিভনেস বোঝেন, এর গুরুত্ব দিতে জানেন। তাঁর নির্দেশে তথ্য ও যোগাযোগ বিভাগ কিশোর-কিশোরীদের জন্য একটি শিক্ষামূলক ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘কিশোর বাতায়ন’ গড়ে তোলা হয়েছে, যেখানে কিশোর-কিশোরীরা মানসম্মত কনটেন্ট দেখতে পাচ্ছে এবং নিজেরাও নতুন কনটেন্ট যুক্ত করতে পারছে। জ্ঞান অর্জনের এই সুযোগ কেনো নেবে না কিশোর বয়সীরা? বাবা-মায়ের সচেতনতা এ ক্ষেত্রে খুব দরকারি। কিশোর গ্যাং কেনো হবে সন্তান? কিশোর বাতায়ন এ দেশের কিশোরদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হতে দারুণ ভূমিকা রাখছে। ‘মুক্তপাঠ’ আরেকটি চমৎকার ডিজিটাল প্লাটফর্ম শিক্ষার্থীদের জন্য। সাধারণ, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং জীবনব্যাপী শিক্ষার সুযোগ আছে ‘মুক্তপাঠ’-এ।
শিক্ষক বাতায়নের মাধ্যমে শিক্ষকরা পেশাগত দক্ষতা উন্নয়ন করছেন। শিক্ষক বাতায়নে সংরক্ষিত থাকা সাধারণ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষার বিভিন্ন বিষয়ের ভিডিও, অডিও, অ্যানিমেশন, চিত্র, ডকুমেন্ট, প্রকাশনা ব্যবহার করে শিক্ষকগণ মাল্টিমিডিয়ায় ক্লাসরুমে শিক্ষা দিতে পারছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় কণ্ঠে তাঁর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে যে, ২০২১ সালের মধ্যেই দেশের ৯ লাখ শিক্ষকের সবাইকে শিক্ষক বাতায়নে আনা হবে।
আগেই বলেছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিশ্বে অনলাইন শ্রমশক্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন দ্বিতীয়। লার্নি অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১ লক্ষাধিক জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ফ্রিল্যান্সার বানানো হয়েছে। এর মধ্যে নারী হচ্ছেন ৪১,৬০০ জন। ফ্রিল্যান্সাররা আউটসোর্সিংয়ের কাজ করে এ পর্যন্ত প্রায় ৪৩ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে। বাংলাদেশের হাই টেক পার্ক ও সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কসমূহে প্রশিক্ষণ শেষে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। নতুন প্রশিক্ষণের সময়সূচী, কের্সসমূহের বিবরণ, চাকরিসংক্রান্ত তথ্য, প্রশিক্ষণ দানকারী প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন শিল্পপ্রপতিষ্ঠানকে অনলাইনে একই প্লাটফর্মে আনা হয়েছে। এর নাম ‘দক্ষতা বাতায়ন’। দেশের ৩ লাখ ইমাম-মুয়াজ্জিনদের অনলাইন প্ল্যটফর্ম আছে। ধর্মীয় সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি ইমাম-মুয়াজ্জিনদের কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ‘ইমাম বাতায়ন’-এর মাধ্যমে।
আবারও বলতে চাই, সমাজের সব স্তরের সবাইকে সাথে নিয়ে এগিয়ে চলার নাম ‘ইনক্লুসিভনেস’। জনগণকেও ইনক্লুসিভনেস বুঝতে হবে, পালন করতে হবে। তবেই বাংলাদেশ হয়ে উঠবে দক্ষ এবং সভ্য রাষ্ট্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ-এর এগিয়ে যাওয়ার ১২ বছরে বাংলাদেশ কোথা থেকে কোথায় এসে দাঁড়িয়েছে, তা খোলা চোখ দিয়ে দেখলেই নিজের ভেতরে তাগাদা তৈরি হবে। এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের সাথে চলতে হলে এগিয়ে যাওয়ার দক্ষতা অর্জন করতে হবে সবাইকে। পুরনো ধ্যানধারনার দিন শেষ। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ বুকে লাল-সবুজের পতাকার সাহস ও মেরুদণ্ডে পতাকা বহনকারীর সম্মান গড়ে দিচ্ছে। এর ফলে দক্ষ মানবসম্পদ হয়ে ওঠা এ দেশের মানুষ বিশ্বে যে নামটি উজ্জ্বল করে তুলছেন, তার নাম কিন্তু বাংলাদেশ-ই। জয় হোক্ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশের। জয় হোক্ বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের। লেখক : উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা, তথ্য অধিদফতর, ঢাকা।
(ঊষার আলো-আরএম)