ঊষার আলো প্রতিবেদক : দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হেয় করে বক্তব্য প্রদান করায় খুলনার তেরখাদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সদর ইউনিয়নের চেয়াম্যান এফএম ওহিদুজ্জামান অহিদকে দল থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সাথে এই নেতার বক্তব্য নিয়ে খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য কোন প্রতিবাদ না করায় তাঁর (এমপি) বিষয়টি কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ জুলাই) সকালে দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির জরুরী সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
দলটির জেলা সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব এ্যাড. সুজিত অধিকারী। সভাপতি স্বাগত বক্তব্য দিয়ে জরুরী প্রয়োজনে সভাস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ১নং সহ সভাপতি জনাব এ্যাড, সোহরাব আলী সানা সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বৃন্দ যথাক্রমে এ্যাড. এমএম মুজিবর রহমান, এ্যাড. রবীন্দ্রনাথ মন্ডল, বিএমএ ছালাম, মোস্তফা কামাল পাশা খোকন, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, রফিকুর রহমান রিপন, আক্তারুজ্জামান বাবু এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ যথাক্রমে সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার আবু সালেহ, প্রচার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট নব কুমার চক্রবর্তী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোস্তাফিজুর রহমান কালু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক শ্রীমন্ত অধিকারী রাহুল, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডাঃ মো. শেখ শহীদ উল্লাহ্,নির্বাহী কমিটর সদস্যবৃন্দ শেখ শহিদুল ইসলাম, অসিত বরণ বিশ্বাস, ফারহানা হালিম।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতিবৃন্দ যথাক্রমে কাজী বাদশা মিয়া, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, সাংগঠনিক সম্পাদকবৃন্দ এস এম খালেদীন রশিদী সুকর্ন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহম্মেদ খান জবা, দপ্তর সম্পাদক এমএ রিয়াজ কচি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. শাহ আলম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রকিকুল ইসলাম লাবু, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কাজী শামীম আহসান, শ্রম সম্পাদক মোজাফফর মোল্যা, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খায়রুল ইসলাম, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েদুজ্জামান সম্রাট, নির্বাহী কমিটর সদস্যবৃন্দ ননী গোপাল মন্ডল, শেখ আকরাম হোসেন, আনোয়ার ইকবাল মন্টু, অধ্যক্ষ ফ ম ছালাম, জাহাঙ্গীর হোসেন মুকুল, বিলকিস আক্তার ধারা, শিউলি সরোয়ার, শাহিনা আক্তার লিপি, ফারজানা নিশি, অমিয় অধিকারী, আনিসুর রহমান মুক্ত, মোঃ আজগর বিশ্বাস তারা, মোঃ জামিল খান প্রমূখ।
দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ঈদুল আযহা উপলক্ষে তেরখাদা ইউনিয়নে চাল বিতরণকালে গত ১৯ জুলাই ফেসবুক লাইভে ‘খুলনা -৪ আসনের এমপি কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রী ডোনেশন নিয়ে বিদেশ যান’ বলে এই নেতা মন্তব্য করেন। এ সময় মোবাইল ফোনের অপর প্রান্তে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী। অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। অনুষ্ঠানটি ফেসবুকে সরাসরি দেখানো হচ্ছিল। এ ঘটনায় জেলা-উপজেলায় আওয়ামী লীগ, সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
উল্লেখ্য, ইউপি চেয়ারম্যান অহিদ তাঁর বক্তব্যে স্থানীয় এমপি সালাম মূর্শেদীর ভুয়সী প্রশংসা করেন। এক পর্যায়ে অপ্রসাঙ্গিকভাবে বলেন, ‘আব্দুস সালাম মূর্শেদী শুধু তেরখাদার নয়, বাংলাদেশের সম্পদ। তিনি বাংলাদেশ নিয়ে যিনি কাজ করেন; আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন বড়ধরণের অবদান করেন , দেখা ..যাচ্ছে বহি:বিশ্বে যাবেন তখন কিন্তু তিনি আব্দুস সালাম মূর্শেদী ডোনেশন করেন, টাকা দেন। আমাদের খুলনা জেলার অনেক এমপিকে কিন্তু সালাম মূর্শেদী টাকা দেন, তারা চলেন।’ যেটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয় ও নিন্দার ঝড় তোলে। পরে অবশ্য ভিডিওটি মুছে ফেলা হয়।
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিৎ কুমার অধিকারী ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অহিদুজ্জামানকে সাময়িক বহিস্কার ও ১০দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সাথে অহিদুজ্জামানের বক্তব্যে কোন প্রতিক্রিয়া না দেয়া সংসদ সদস্য সালাম মূশের্দীর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। ’