ঊষার আলো রিপোর্ট : দেশের মধ্য ও নিম্ন-আয়ের মানুষ ভালো নেই। নিত্যপণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি বিপাকে ফেলেছে চরমভাবে। বলা হচ্ছে, দেশে নিত্যপণ্যের উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই, সরবরাহ ব্যবস্থাও স্বাভাবিক; কিন্তু এরপরও দাম বাড়ছে দ্রুতগতিতে। পাশাপাশি সব ধরনের সেবার মূল্যও বাড়ছে বেপরোয়াভাবে। এর ফলে ভোক্তার জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। ভোক্তার পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। জীবনযাত্রার খরচ যেভাবে বেড়েছে, সেভাবে আয় বাড়েনি। ফলে সংসারের প্রয়োজন মেটাতে মানুষ ঋণগ্রস্ত হচ্ছেন। বাজারে গিয়ে মানুষ ক্ষোভ ঝাড়ছেন সরকারের বিরুদ্ধে। দেখা যাচ্ছে, সিন্ডিকেট করে একটি চক্র পণ্যের দাম বাড়িয়ে প্রতিবছর ভোক্তাকে জিম্মি করে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করলেও সরকার কার্যত অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে। ফলে বাজার সিন্ডিকেটের দাপুটে উত্থান ঘটছে নির্বিঘ্নে।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক ও বিশিষ্টজনরা বলছেন, সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে কঠোর ব্যবস্থা না নেওয়ার বিকল্প নেই। বাজার নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব যাদের, তারা যদি ব্যর্থ হন, তাহলে তাদের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। তারা বলছেন, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ব্রয়লার মুরগিসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ৫ থেকে ৬টি করপোরেট কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। এছাড়া মধ্যস্বত্বভোগীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে পণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। ফলে ক্রেতারা ন্যায্যমূল্যে পণ্য কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। মূল্যবৃদ্ধির কারসাজির সঙ্গে যেসব বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান বা করপোরেট কোম্পানি জড়িত সেগুলোকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। আদতে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে প্রথম কাজ বিকল্প সরবরাহ নিশ্চিত করা। বাজার দিয়ে বাজারের মোকাবিলা করা। একই সঙ্গে কারসাজির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে যে বিধান রয়েছে তার মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া। এক্ষেত্রে আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে এ অসাধু চক্রকে বাজার কারসাজিতে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
ঊষার আলো-এসএ