ঊষার আলো ডেস্ক : ওয়াজের মাধ্যমে দেশজুড়ে উগ্রবাদ ছড়ানোর অভিযোগে দুই ইসলামী বক্তা মুফতি আমির হামজা ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে খুঁজছে পুলিশ। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এই দুই বক্তা ওয়াজের নামে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার চেষ্টা করছেন। ধর্মের নামে অপব্যাখ্যা দিয়ে তারা কিশোর-তরুণদের জঙ্গিবাদে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি তলোয়ার নিয়ে সংসদ ভবনে হামলা চালানোর চেষ্টায় গ্রেপ্তার সাকিব নামে ওই যুবকের মোবাইল ফোনে মুফতি আমির হামজাসহ আরও কয়েকজন বক্তার ভিডিও পায় পুলিশ। এরপর থেকেই গোয়েন্দা নজরদারিতে রয়েছেন মুফতি আমির হামজা ও মাহমুদুল হাসান গুনবী।
ঢাকার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গত ৫ মে তলোয়ার নিয়ে সংসদভবনে হামলা চালানোর চেষ্টারত সাকিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব আলি হাসান উসামা জানায় এক ইসলামী বক্তার নির্দেশে সে এই পরিকল্পনা করেছিল। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে আরও কয়েকজন বক্তার ওয়াজ শুনে এমন চিন্তা করেছে বলে জানায়।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, সাকিবের মোবাইল ফোনে মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদী জিহাদি হামলার বার্তাসংবলিত ভিডিও পাওয়া যায়। তাকে আটকের পর শেরেবাংলা নগর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় সাকিবসহ আলী হাসান উসামা ও মাওলানা মাহমুদুল হাসান গুনবীকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া এজাহারে বলা হয়েছে, ‘সাকিব মোবাইল ফোনে উগ্রবাদ বার্তাসংবলিত ভিডিও প্রচারকারী আলী হাসান উসামা, মাহমুদুল হাসান গুনবী, আমির হামজা, হারুন ইজহার প্রমুখ ব্যক্তির উগ্রবাদী জিহাদি হামলার বার্তাসংবলিত ভিডিও দেখে উগ্রবাদে আসক্ত হয়।’
উল্লেখ্য, ওয়াজ-মাহফিল ও ইউটিউবে উগ্রবাদ প্রচার করার অভিযোগে ২০১৯ সালের মার্চে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে ১৫ জন ইসলামি বক্তার একটি তালিকা তৈরি করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। এসব বক্তাদের অনেকেই ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
(ঊষার আলো-এমএনএস)