ঊষার আলো রিপোর্ট : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমের বহরের একটি গাড়ি বুধবার সন্ধ্যার দিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বিষয়টি নিয়ে নিজের ফেরিফাইড আইডিতে পোস্ট করেছেন তিনি।
চট্টগ্রামে আদালত প্রাঙ্গণে খুন হওয়া অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জিয়ারত শেষে ফেরার পথে বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম। মহাসড়কের চুনতি ইউনিয়নের হাজী রাস্তার মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রাকের চালক এবং সহকারীকে (হেলপার) আটক করা হয়েছে।
পোস্টে এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, ‘হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সার্জিস আলমকে বহনকারী প্রাইভেটকারকে ট্রাক চাপা! হত্যাচেষ্টা না নিরেট দুর্ঘটনা? তা অবশ্যই যথাযথভাবে খতিয়ে দেখা দরকার। বিষয়টি সত্যিই উদ্বেগজনক।’
সড়ক দুর্ঘটনার পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। দুর্ঘটনা ও তাদের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি বলেন, আমরা শারীরিকভাবে সবাই সুস্থ আছি। আমরা যে গাড়িতে ছিলাম তার সামনের গাড়িতেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘাতক ট্রাকচালক ও হেলপারকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এদিন চট্টগ্রাম মহানগরের জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ মাঠে সাইফুল ইসলাম আলিফের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন হাসনাত আবদুল্লাহ এবং সারজিস আলম। দাফনের পর অ্যাডভোকেট সাইফুলের কবর জিয়ারত করেন হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমির আলহাজ শাহজাহান চৌধুরী।
সাইফুল ইসলাম আলিফ সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) ছিলেন। আলিফ লোহাগাড়ার চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন সাইফুল। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান। আইনজীবীকে হত্যার ঘটনায় চট্টগ্রামে রাতভর অভিযান চালিয়ে ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। এ ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় দুইটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঊষার আলো-এসএ