UsharAlo logo
সোমবার, ১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দৃশ্যমান হলো রূপসা রেল সেতু

koushikkln
জুলাই ৩, ২০২২ ৪:৩৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষারআলো রিপোর্ট: পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন (২৫ জুন) বসেছে রূপসা রেল সেতুর সপ্তম ও সর্বশেষ স্প্যান। এরমধ্য দিয়ে দেশের সর্ব বৃহৎ রেল সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনও রেল লাইনের কাজ শেষ হয়নি। ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি নির্মাণ করেছে ভারত সরকার।
রোববার (৩ জুলাই) এসংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভারত সরকারের লাইন অফ ক্রেডিট (LOC)-এর অধীনে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক খুলনা-মংলা বন্দর রেল লাইন প্রকল্পের একটি অংশ রূপসা সেতুর কাজ ২৫ জুন ২০২২ তারিখে শেষ হয়। ভারতীয় ইপিসি ঠিকাদার মেসার্স এলএন্ডটি এই ৫.১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্রড-গেজ সিঙ্গেল-ট্র্যাক রূপসা রেল সেতু নির্মাণ করে যা খুলনাকে মংলা বন্দর শহরের সাথে রেল লাইনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেছে।

সেতুটি উত্তাল রূপসা নদীর ওপর নির্মিত হয়েছে, এবং প্রকৌশলগত দিক থেকে এটি একটি অনন্য কীর্তি কারণ এটির পাইলিং-এর জন্য বেস গ্রাউটিং নামক একটি বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। ভায়াডাক্ট সেকশনে ৮৫৬টি পাইল ফাউন্ডেশন নির্মাণ করা হয়েছে এবং ৭২টি পাইল ফাউন্ডেশন স্টিল ব্রিজ সেকশনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে যার গড় পাইল দৈর্ঘ্য ৭২ মিটার। নদীতে নৌচলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সেতুটির রয়েছে অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য যেমন, নেভিগেশন ফেন্ডার পাইল, যা রয়েছে পায়ারের (pier) নিচের দিকে। মূল সেতুর নেভিগেশনাল ক্লিয়ারেন্স স্ট্যান্ডার্ড হাই-ওয়াটার লেভেল (SHWL) থেকে ১৮ মিটারেরও বেশি। স্টিলের তৈরি এই সুপারস্ট্রাকচার সেতুটির নির্মাণসামগ্রী ভারত থেকে সড়ক, সমুদ্র ও আভ্যন্তরীণ নদীপথে আমদানি করা হয়েছিল।

রূপসা রেলওয়ে সেতু এবং খুলনা-মংলা বন্দর রেললাইনটি পণ্য পরিবহণে ব্যাপক সুবিধা সৃষ্টি করবে। মংলা বন্দরের সাথে এই সহজ ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে এই অঞ্চলের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্যসহ অনায়াসেই স্থানীয় বাজারগুলোতে ব্যবসা করার সুযোগ পাবে। এটি বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশিষ্ট স্থানগুলিতে পর্যটনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ভারত সরকার বাংলাদেশ সরকারের কাছে ৭.৮৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের চারটি লাইন অফ ক্রেডিট (LOC) দিয়েছে। এই লাইন অফ ক্রেডিট (LOC)-এর অধীনে এখন পর্যন্ত ৪২টি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে এবং বাকিগুলি বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। ২০২২ সালের মার্চ মাসে ভারতের অর্থবছর শেষের হিসাবে এই লাইন অফ ক্রেডিট (LOC)-গুলির অধীনে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের মাইলফলক স্পর্শ করেছে এবং ৩০ জুন ২০২২-এ বাংলাদেশের অর্থবছরের শেষের হিসাবে সেটা ১১৫৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত পৌঁছবে।