UsharAlo logo
বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের প্রতিটি পরিবার ‘ফ্যামিলি কার্ড’ পাবে: তারেক রহমান

ঊষার আলো প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ২, ২০২৪ ৭:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সামনের যে নির্বাচন হবে এতো সহজ না।

আগামী নির্বাচন হবে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম কঠিন একটি নির্বাচন। তিনি মনে করেন, বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি ও প্রত্যাশা বদলেছে। তাই নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জনগণের চাহিদা ও মনোভাব বুঝে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া নেতাদের দায়িত্ব।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ক্ষমতায় এলে পরিবারভিত্তিক “ফ্যামিলি কার্ড” এবং কৃষকদের জন্য “ফার্মার্স কার্ড” চালু করবেন। ফ্যামিলি কার্ড পরিবারের মা বা স্ত্রীর নামে দেওয়া হবে, যা পরিবারের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। অন্যদিকে ফার্মার্স কার্ড কৃষকদের কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সার, বীজ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য ব্যবহৃত হবে

তারেক রহমান সম্প্রতি এক ভার্চুয়াল কর্মশালায় বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে, বিএনপির সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। তিনি স্পষ্ট করেন যে, ক্ষমতায় আসা নির্ভর করবে জনগণের সমর্থনের ওপর। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তাদের কর্মকাণ্ডই বিএনপির ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।

তারেক রহমান দলের সদস্যদের দায়িত্বশীল আচরণের ওপর জোর দিয়ে বলেন, জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে এবং তাদের আস্থা ধরে রাখতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন যে, জনগণের আস্থা বিএনপির প্রতি রয়েছে, এবং এই আস্থাকে বজায় রাখা দলের সকল সদস্যের দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়ন এবং দলকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য দলের প্রতিটি কর্মীর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তারেক রহমান তার বক্তব্যে বলেছেন, দেশটি সকল মানুষের জন্য এবং দেশের কল্যাণে কাজ করা বিএনপির মূল লক্ষ্য। তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি সমাজের কিছু ব্যক্তি সংস্কারের কথা বলছেন, যা বিএনপি দুই বছর আগেই ৩১ দফা প্রস্তাবের মাধ্যমে উত্থাপন করেছে। তারেক রহমানের মতে, সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় সব বিষয়ই বিএনপির ৩১ দফার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এই ৩১ দফা শুধুমাত্র বিএনপির নয়, এটি বাংলাদেশের পক্ষে গণতান্ত্রিক সব দলের জন্যও প্রাসঙ্গিক। এটি দেশের জনগণের স্বার্থে তৈরি একটি সুনির্দিষ্ট রূপরেখা, যা একটি গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ, ও সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়েছে।

তারেক রহমান তার বক্তব্যে বিএনপির ৩১ দফার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন যে, জনগণের সমর্থন বজায় রাখা এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার করাই দলের মূল লক্ষ্য। তিনি নির্দেশ দেন যে, এই দফাগুলো জনগণের ঘরে ঘরে পৌঁছাতে হবে এবং দলীয় কর্মীদের জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

তার মতে, ৩১ দফা হলো বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার মূল ভিত্তি, যা শুধু দলের নয়, বরং সমগ্র দেশের গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতিফলন। তাই এগুলো বাস্তবায়নে প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ।

তারেক রহমান তার বক্তব্যে বলেন, গত ১৭ বছর ধরে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে বিএনপির নেতাকর্মীরা যেভাবে টিকে আছেন, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে ৩১ দফার বার্তা জনগণের ঘরে পৌঁছে দেওয়া তুলনামূলক সহজ হবে। তিনি উল্লেখ করেন, কঠিন সময় পার করার সক্ষমতা বিএনপির রয়েছে, এবং সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান, সবাই একসঙ্গে কাজ করলে ৩১ দফার বার্তা দেশের প্রতিটি মানুষ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি এই উদ্যোগকে গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরেন

তারেক রহমান বলেন, নারীর যোগ্যতা ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করা উচিৎ। এটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা উচিত। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে নারীদের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থা ফ্রি করে দিয়েছিলেন। প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি ফ্যামিলি কার্ড তৈরি করবো। প্রান্তিক মানুষকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মিনিমাম সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো। এটি সব শ্রেণি পেশার মানুষ পাবে। ফ্যামিলি কার্ডটি পরিবারের মা বা স্ত্রীর নামে দেওয়া হবে। এরমাধ্যমে তার মর্যাদা বাড়বে। আর যে অর্থ শাস্রয় করবে সেই অর্থ সন্তানের স্বাস্থ্য ও লেখাপড়ায় ব্যয় করবে। এতে ভবিষ্যৎ সুন্দর একটি প্রজন্ম তৈরি হবে। সঞ্চিত অর্থ ৫ থেকে ১০ বছর পর তার অর্থনৈতিক শক্তি সৃষ্টি হবে। এতে পরিবারে তার আত্মমর্যাদা বাড়বে।

ঊআ-এইচআর