ঊষার আলো ডেস্ক : জটিল রোগীদের প্রাণ বাঁচাতে আইসিইউ কতটা জরুরি সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। সাথে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত জটিল রোগীদের এর আরও বেশি প্রয়োজন।
জানা যায়, দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ১ হাজার ৬৯টি। আবার অনেক হাসপাতালে আইসিইউ থাকলেও সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক এবং প্রশিক্ষিত নার্সের অভাবে তাতেও সেবা ব্যাহত হচ্ছে। যদি দেশে করোনার প্রকোপ আরও বাড়ে তাহলে আইসিইউর প্রাপ্যতা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হয়ে পড়বে।
আমাদের প্রতিবেশী দেশকে লক্ষ করলেই আমরা তা ধারণা করতে পারি। করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কারণে সেদেশে এখন প্রতিদিনই লাখ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন ও মারা যাচ্ছে হাজারো মানুষ। আমাদের দেশেও এ ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে তা সামাল দেওয়া কতটা কঠিন হবে তা সহজেই বুঝা যাচ্ছে।
কিছু দিন আগেই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মানুষ ঈদের আগে নিজ বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেছে। তখন দেখা যায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মানুষ যেভাবে যাতায়াত করে, তাতে দেশে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করার আশঙ্কা আসলে রয়েই যায়।
কাজে দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, তা মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের নেই। করোনা রোগীর সংখ্যা ভারতের মতো অস্বাভাবিক হারে বাড়লে আইসিইউ শয্যার ঘাটতি দেখা দেবে তা খুব ভালভাবেই বোঝা যাচ্ছে।
তার পাশাপাশি সাধারণ শয্যার চাহিদা কিন্তু মেটানোও সম্ভব হবে না। আর গ্রামাঞ্চলে যদি এটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তবে সামগ্রিক চিকিৎসাব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। ফলে এ ধরনের সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি পর্যায়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা দরকার।
কারণ গ্রামে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলে বিশেষকরে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে আইসিইউর প্রাপ্যতায় যে ভয়াবহ সংকট তৈরী হবে তা বলাই বাহুল্য। কাজেই যারা আগে বাড়ি ফিরেছেন তাদের কিছুদিন বাড়িতে অবস্থান করাই নিরাপদ হবে। আর যারা ফের শহরে ফিরেছেন তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মস্থলে যাওয়া নিশ্চিত করা অতি জরুরি।
ফলে দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে আইসিইউ না থাকলে চিকিৎসাব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। কাজে যে করেই হোক আইসিইউর সংকট মেটাতে হবে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)