UsharAlo logo
সোমবার, ৭ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৩শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নগরজুড়ে শীত আমেজে পিঠা বিক্রির ধুম

koushikkln
জানুয়ারি ৩০, ২০২২ ১০:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : ‘মাঘের শীত বাঘের গায়ে’- প্রবীণদের এ কথার মিল পাওয়া যাচ্ছে সম্প্রতিক তীব্র ঠান্ডায়। ভোররাতে পড়া ঘনঘটা কুশায়া, সন্ধ্যার পর বাইরে হাড় কাঁপানো কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এ ঠান্ডা যেন জেঁকে বসেছে চারিদিক।
এদিকে শীতের এই তীব্র ঠান্ডায় পিঠার তৈরীর আগুনের চুলার পাশে বসে দীর্ঘ সময় ধরে গল্প করে কাটানোর আমেজে শুরু হয়েছে নগরীর ডাকবাংলা, শিববাড়ি, সোনাডাঙ্গা, গল্লামারী, নিরালা, জোড়াগেট, রুপসা, বয়রা, বাস্তহারা, বৈকালি, খালিশপুর, দৌলতপুর, খালিশপুর, মানিকতলা, ফুলবাড়ীগেট, শিরোমনি, বিভিন্ন এলাকার অলি গলি, পাড়া-মহল্লার এলাকা জুড়ে। এমন ঘনঘটা ঠান্ডায় নগরীর বিভিন্ন সড়কের পাশে টিপ টিপ করে জ্বলা চুলাতে তৈরী করা হচ্ছে হরেক রকম পিঠা। তাই যেন ভারী ঠান্ডায় পড়েছে পিঠা বেচাকেনার ধুম ।

পিঠা দোকানগুলোতে সন্ধ্যার পর হতে শুরু করে দীর্ঘ রাত পর্যস্ত সব বয়সের মানুষের আনাগোনা ঘটলেও উঠতি বয়সী বয়সী তরুন-তরুনীদের আনাগোনাই বেশি। শীতে ঠান্ডার পরশ শরীরে লাগিয়ে ভ্রাম্যমান পিঠার দোকানের সামনে ভাপা বা সাঁচের পিঠা খাওয়ার লোভ সামলাতে পারছেনা নগরবাসী।
করোনার প্রকোপ নি¤œ আয়ের মানুষকে সর্বশান্ত করে ছাড়ছে, তাই অথনৈতিকভাবে দুর্বল হওয়া সাধারণ মানুষগুলো সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে জেকে বসা শীতে বেছে নিয়েছে পিঠা বিক্রির। যে কারণে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ শহরের স্থানীয় এলাকার পাড়া-মহল্লায় রাস্তার পাশে ভ্রাম্যমান দোকান, ভ্রাম্যমান ভ্যান গাড়িতে বা ফুটপাতে চুলা জ্বালিয়ে তেল পিঠা, নানা স্বাদের মসলার সাঁচের পিঠা ও ভাঁপা পিঠার এখন রমরমা ব্যবসা।

দৌলতপুর রেল লাইন সংলগ্নে বসা পিঠা বিক্রেতা মুন্না জানান, প্রতিটি তেলের পিঠা প্রতি পিচ ৫ টাকা, সাঁচের পিঠা ৫ টাকা ও ভাপা পিঠা ১০ টাকা বিক্রি করছে বিক্রিতা। এই সকল দোকানগুলোর মূল ক্রেতারা হলো পথচারী ও শিশু-কিশোর, চাকুরীজীবী, ঘরে ফেরা মানুষ, উঠতি বয়সী যুবক, ভ্যান চালক ও দিনমজুর সহ সব বয়সের মানুষ।

কথা হয় পিঠা বিক্রেতা রহিমার সাথে। তিনি জানায়, করোনার নামের ঘাতকের কারণে এখনো এনজিও’র ঋণ পরিশোধ করতে পারিনি। প্রতি সপ্তাহে কিস্তি দিতে হয়। বর্তমানে সংসারের সচ্ছলতা ও ঋণ পরিশোধ করতে শীতকে ঘীরে পিঠা বিক্রি শুরু করেছি। পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা আয় হচ্ছে ।
বিএল কলেজের ছাত্র সবুজ জানায়, প্রতিদিন রাতেই বন্ধুদের নিয়ে ঝাল মশলার পিঠা খেতে আসি। তবে শীতের মধ্যে গরম ভাপের পিঠা বেশি ভালো লাগে।