UsharAlo logo
বুধবার, ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খুলনায় চার হাজার টাকার বিরোধে গৃহিনী ফাতেমা খুন, লাশ উদ্ধার

ঊষার আলো
জানুয়ারি ১২, ২০২৩ ৯:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : খুলনায় চার হাজার টাকার বিরোধের জেরে ফাতেমা বেগম (৫৫) নামে এক গৃহিনী খুন হন। সদর থানার দারোগাপাড়ার বাসিন্দা ফাতেমা বেগমের লাশ পুলিশ বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে লবণচরা থানার পুটিমারী এলাকা সংলগ্ন রূপসা নদীর চর হতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত মরদেহের হাত-পা বাধা ছিল।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার দু’আসামি আদালতে অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে। মাত্র চার হাজার টাকার বিরোধে তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক জামাল উদ্দীন আসামিদের দেয়া স্বীকারোক্তির উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দারোগাপাড়ার বাসিন্দা ফারুক এবং তার স্ত্রী তাহমিনা এলাকার মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী ফাতেমাকে একটি সমিতি থেকে লোন করিয়ে দেবার কথা বলে চার হাজার টাকা নেন। এরপর কয়েকদিন ধরে ঘুরাতে থাকেন। গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে আসামিরা ফাতেমাকে লোনের ব্যবস্থা করার আশ্বাসে ফোন করে ৪৪/১ নাম্বার হোল্ডিংয়ের বাসায় ডেকে নেয়। এরপর তাকে ইট দিয়ে মাথার বাম পাশে আঘাত করে। রক্তাক্ত জখম হয়ে তিনি মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। তখন তার মাথায় আবারও আঘাত করা হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এরপর আততায়ীরা লাশটি হাত-পা বেধে বস্তায় ভর্তি করে একটি ইজিবাইকে করে বটিয়াঘাটা থানার ১০ গেট এলাকার নদীতে ফেলে দেয়। ওই বাসার মেঝে হতে হত্যাকাণ্ডের আলমত ইটটি জব্দ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের ছেলে দুই জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত দু’/তিন আসামির বিরুদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ফারুক আহমেদ (৫৭) এবং তার স্ত্রী তাহমিনা বেগম (৫০)কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করেন। পরবর্তীতে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান।

জামাল আরো বলেন, মরদেহের মাথায় দুইটি স্থানে জখমের ক্ষত রয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যা এবং লাশ গুম চেষ্টার সাথে আরও কেউ জড়িত কিনা? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে।