UsharAlo logo
সোমবার, ১৩ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নগরীতে বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনেও স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বিচরণ

usharalodesk
জুন ১৪, ২০২১ ৯:৪০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনা জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমনের হার বৃদ্ধির জন্য খুলনা জেলা প্রশাসন নতুন করে টানা সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। সোমবার (১৪ জুন) বিধি নিষেধের দ্বিতীয় দিন অহিবাহিত হলে ও প্রতিদিনকারের মতোই নগরীর দৌলতপুরে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই সকলকে অবাদে বিচরণ করতে দেখা যায়। করোনা মহামারীর সংক্রমন খুলনার অতীতের দিনগুলোর রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার দরুন কঠোর বিধিনিষেধের মাধ্যমে যে সংক্রমন রোধের যে ইতিবাচক দিক বিবেচনা করা হয়েছে বাস্তবে তার কোনরূপ ফল মিলছে না, এমন চিত্র উঠে এসেছে দ্বিতীয় দিনে দৌলতপুরের প্রায় সর্বস্তরে। কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে শর্তসাপেক্ষে সার্বিক কার্যাবলি, চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের উপর জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে নিয়মিত অভিযান অব্যহত থাকলেও দৌলতপুরের সাধারণ মানুষ তার বাস্তবায়নে নারাজ।
সরেজমিনে, কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনেও স্বাভাবিক দিনের মতোই মানুষের স্বাভাবিক চলাচল দেখা যায়। বিশেষ করে নজরকাড়া জনসমাগম পরিলক্ষিত হয়েছে মহাসড়কে উপর, দৌলতপুর খুচরা-পাইকারী বাজার, ট্রাফিক মোড়, বাজার সম্মুখ, রেলক্রসিং গেট সংলঘ্ন, বি.এল কলেজ সংলঘ্নসহ মহাসড়কে দিয়ে চলাচলরত খুলনা যশোর মহা-সড়কে মাহেন্দ্র, সিএনজি, ইজিবাইক গুলোতে পূর্নাঙ্গ যাত্রীবহন না করে অর্ধেক যাত্রীবহনের নির্দেশনা আরোপ করলেও সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধে এ নিয়মের সম্পূর্ন অবজ্ঞা করে পূর্নাঙ্গ যাত্রীবহন করেছে পরিবহনের চালকেরা। বিধিনিষেধের আদেশ অমান্য করে এসকল পরিবহনের চালকেরা গাড়ী ভর্তি করে যাত্রী টানার প্রতিযোগীতায় নেমেছে। অপরদিকে, দৌলতপুরে হাজী বিরানী হাউজ, ঢাকা বিরানী হাউজ, নান্না বিরানী হাউজসহ উল্লেখযোগ্য হোটেল রেস্তরাতে ক্রেতাদের বসিয়ে খাওয়ানো নিষেধ থাকলেও প্রশাসনের আদেশকে অমান্য করে সামাজিক দূরত্ব ছাড়াই করে যাচ্ছে রমরমা ব্যবসা। বাজারের দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, বিনাপ্রয়োজনে বাড়ীর বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও দৌলতপুরের বাজার কেন্দ্রীক মানুষের সমাগম বেড়েই চলেছে। যে জনসমাগম ঘটছে যে দেখে বোঝার উপয় নেই, দেশে মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমন রোধে সরকার কর্তৃক সাত দিনের বিধিনিষেধ চলছে চলছে। একেই তো জনসমাগম, অন্যদিকে অনেকের মুখে মাস্কই নেই। যদিও মাস্ক দেখা গেছে তবে সেটা মুখে নয়, কানে বা পকেটে ঝুলছে। দৌলতপুরে সর্বত্র প্রায় অধিকাংশ জায়গায় জনাসমাগম, সকলেই মাস্ক ছাড়া, নিরাপদ দূরত্ব বাজায় না রেখে ইচ্ছা-স্বাধীন মতো ছুটছে সকলেই। নেই স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা। তবে ভূলে গেলে চলবেনা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যুর ঝুঁকি আছে। সুতারাং সুধী সমাজের অভিমত নিজের এবং নিজের পরিবারের কথা ভেবে সকলের উচিত সরকার ঘোষিত সাত দিনের বিধি নিষেধ মেনে চলা।
খুলনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড দেবাশীষ বশাক জানান, বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে সংক্রমন রোধে সরকারী স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীর বিরুদ্ধে  স্বাস্থ্যবিধির উপর ভ্রাম্যমান কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করা হয়েছে। সুতারাং আমাদের নিজের এবং পরিবারের কথা ভেবে, সাতদিনের বিধি নিষেধ যথাযথভাবে পালন করা উচিত।
(ঊষার আলো-এমএনএস)