ঊষার আলো প্রতিবেদক : দীর্ঘ গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ, কাঠফাটা রোদ আর অসহনীয় গরমের হাহাকারে অতিষ্ঠ জনজীবন। কয়েক সপ্তাহের এই টানা অস্বস্তিকর অগ্নিদহনে যেমন প্রাণহীন হয়ে ওঠেছে চারপাশের প্রকৃতি ঠিক অপর দিকে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল হয়ে ওঠেছে অস্বাভাবিক আর অস্বস্তিকর। অবশেষে দীর্ঘদিনের প্রতিক্ষার পর ভারী বর্ষণ না হলেও বৃষ্টির মুখ দেখতে পেয়ে জনজীবনে বেশ স্বস্তি নেমে এসেছে দৌলতপুর জুড়ে। নগরীর দৌলতপুরে ২৩ মে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হঠাৎ আকাশ কালো মেঘে ঢেকে গিয়ে এক পরশা শীতল অনুভূতি নামিয়ে দিলে দৌলতপুর জনজীবন সহ জীব বৈচিত্রকে ঠান্ডা করে দিয়েছে।
বৃষ্টি চলে টানা ৩০ হতে ৩৫ মিনিট। বেশ জোড়ে শোরে বৃষ্টি নামে, যা ছিল ভিজে যাওয়ার মতো। তবে বৃষ্টি থামলেও আকাশ সম্পূর্ণ মেঘলা ছিল। তবে দৌলতপুরের অনেকেই মনে করছে গত ২২ মে দেয়ানা উত্তরপাড়া স্কুল মাঠে বেলা ১১টায় এলাকার মুসল্লিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত বিশেষ নামাজ ও দোয়া জন্য হয়তোবা যেন ডাক শুনেছে মহান সৃষ্টিকর্তা ।
সরেজমিনে, এই স্বস্তির বৃষ্টিতে তাপদাহের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে জনজীবনে স্বস্তির ছোঁয়া নেমে এসেছে। বৃষ্টির কারণে হঠাৎ মহাসড়কে যান চলাচল কমে যায়। তবে বর্ষার দরুন রিক্সার চলাচল ছিল চোখে পড়ার মতো। মৌসুমের প্রথম বর্ষার অনেকেই নিজের একটু ভিজিয়ে নিয়েছে।
দেয়ানা বাসিন্দা সমাজসেবক গোলাম রব্বানী টিপু বলেন, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত বৃষ্টির ছোঁয়া অনেকটাই চালক পাখির মতো, স্বস্তি নেমে এসেছে জীবনে। টানা কয়েক দিনের গরমে জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। যদিও ভারী বর্ষণের ছোঁয়া লাগেনি, তবুও এ বৃষ্টি যেন স্বস্তি দিয়েছে সকলকে।
খুলনা আঞ্চলিক আওহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ এ জানান, পূর্ব মধ্যে বঙ্গপোসাগর তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে সুস্পষ্ট নিন্মচাপে পরিনত হয়ে অবস্থান করছে। এটি মোংলা বন্দর থেকে ৭১০ কিঃ মিঃ দক্ষিন পশ্চিমে, পায়রা থেকে ৬৫৫ কিঃ মিঃ, চট্টগ্রাম থেকে ৭০০ কিঃ মিঃ, কক্সবাজার সমুগ্র বন্দর হতে ৬২৫ কিঃ মিঃ দূরে অবস্থান করছিল। এটি আরো ঘনিভূত হয়ে গভীর নিন্মচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিতে পারে। আশা করা যাচ্ছে আগামী ২৬ মে ভারতের উড়িষ্যা,পশ্চিমবঙ্গ ও খুলনার পার্শ্ববর্তী এলাকা দিয়ে এটি অতিক্রম করতে পারে। এরই প্রভাবে আগামী ২৪ মে না হলেও ২৫ হতে ২৬ মে প্রচুর বৃষ্টির পাত হওয়ার সম্ভবনা আছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।