উষার আলো প্রতিবেদক : নগরীর খালিশপুর থানাধাীন কেসিসি’র ১৪নং ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকায় পানি নিষ্কাশন পথগুলো আবর্জনায় ভরাট হয়ে থাকা, ড্রেনেজ লাইন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দরুন সামান্য বৃষ্টিতেই তলিয়ে যায় অধিকাংশ এলাকা, পাড়া-মহল্লার রাস্তাঘাট। যে কারণে পানি নিষ্কাশন পথগুলো আবর্জনায় ভরাট হয়ে থাকা, ড্রেনেজ লাইন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দরুন এ সমস্যা উন্নীতকরণের যথাযথ ব্যবস্থা ও আধুনিকায়ন অত্যন্ত জরুরী বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।
এলাকাবাসী জানায়, রাস্তার সংর্কীনতা রাস্তা ভাঙ্গায় খালখন্দে জমে থাকা পানি নেমে যাবার মতো জায়গা পায় না, ফলে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এছাড়া দূর্বল ড্রেনেজ সিস্টেম ব্যবস্থাও জলাবদ্ধতার জন্য দায়ী। এই ওয়ার্ডের অধিকাংশ এলাকায় যে ড্রেনেজ সিস্টেম রয়েছে তাতে খুব সহজেই পানির সঙ্গে পলিথিন এবং অন্যান্য অপচনশীল পদার্থ ভেসে গিয়ে নালার মধ্যে আটকে যায়, যে কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। বাড়িতে ব্যবহৃত কলার খোসা, কাগজ, পলিথিন, গৃহস্থালির উৎশিস্ট আবর্জনা, বা প্লাটিকের বোতল ইত্যাদি বর্জ্য ডাস্টবিন থাকলেও নেই তার পরিকল্পিত ব্যবহার না করে সরাসরি ড্রেনে গিয়ে নিক্ষেপ করে। ইতিমধ্যেই কেসিসি’র এক্সোমিটার দ্বারা কেসিসি’র ১৪নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ড্রেনের বর্জ্য নিষ্কাষনের কাজ শুরু হয়েছে। কেসিসি সূত্র জানায়, এই ওয়ার্ডে ৪/৫ দিন কাজ চলবে।
তবে যেখানে কেসিসি’র এক্সোমিটার সেখানে ঢোকেনা সেখানে ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ম্যানুয়ালী কাজ করবে।
১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোসারাফ হোসেন জানান, আমার ওয়ার্ডের অবস্থানের তুলনায় অসংখ্যক ছোট-বড় ড্রেন রয়েছে। আমি জনবল দিয়ে এ সকল ড্রেনের বর্জ্য পরিষ্কারের জন্য সর্বক্ষণ তদারকি অব্যাহত রেখেছে। দীর্ঘপর হলেও কেসিসি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ওয়ার্ড সমূহে বর্জ্য নিষ্কাষনের। এত করে আশা করি বর্ষাকালে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার সম্ভবনা থাকবেনা। জনদূর্ভোগ কমবে।
কেসিসি’র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রধান আব্দুল আজিজ বলেন, কেসিসি সারা বছরই বর্জ্য নিষ্কাষনের পরিকল্পিতকাজ করে। আমরা ইতি মধ্যে কেসিসি’র প্রতিটি ওয়ার্ডে এক্সোমিটারের মাধ্যমে বর্জ্য নিষ্কাশন শুরু করেছি এবং এ কাজ প্রতিটি ওয়ার্ড কেন্দ্রিক পর্যায়ক্রমে চলবে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
(ঊষার আলো-এমএনএস)