ঊষার আলো প্রতিবিদেক : ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে’র প্রভাবে নগরী জুড়ে হালকা থেকে মাঝারী বৃষ্টি ও ঝড়োয়া হাওয়া অব্যাহত আছে। আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২ নাগাদ দামরার উত্তরে এবং বালা শহরের দক্ষিন দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরো উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পরিবর্তে ৩/৪ঘন্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে’র প্রভাব নগরী জুড়ে অনুভূত হচ্ছে। গত ২৩ মে বিকাল হতে শুরু হওয়া হালকা থেকে মাঝারী ও ঝড়োয়া হাওয়া টানা অব্যহত আছে। সরেজমিনে, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মহাসড়ক জুড়ে যানবহন চলাচল কমে গেছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া লোকেরা তেমন ঘরের বাইরে বের হয়নি। নগরীর পাইকারী ও খুচরা কাঁচা বাজার, মাছ-মাংসের বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা তেমন নজরে মেলেনি। বৃষ্টির কারণে সমগ্র রাস্তাঘাট ও বাজার ছিল স্যাঁতস্যাঁতে। তবে যাদের বাজারঘাটে একান্ত না আসলে নয়, কেবল তারাই বাজারে এসেছে। তাছাড়া চাকুরীমুখি লোকেদের রাস্তায় বেশ চলতে দেখা যায়। দীর্ঘদিন পর নতুন বৃষ্টি পানি পাওয়াতে বাবা মায়ের অনেকটাই অববাধ্য হয়ে বালকেরা স্থানীয় মাঠে ফুটবল আর বৃষ্টিতে ভিজতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। দীর্ঘ গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহ, কাঠফাটা রোদ আর অসহনীয় গরমের হাহাকারের পর ২/৩ দিনের বৃষ্টির ছোয়া পেয়ে নগর বাসীর মধ্যে বেশ স্বস্তি অনুভূতি বিরাজ করছে। নগরীজুড়ে শুরু হওয়া হালকা মাঝারী বৃষ্টি আর ঝড়োয়া হাওয়ার নামিয়ে দিল নগরের জনজীবন সহ জীব বৈচিত্রকে অন্য এক শীতল অনুভূতি।
দেয়ানা বাসিন্দা সমাজসেবক গোলাম রব্বানী টিপু বলেন, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত বৃষ্টির ছোঁয়া অনেকটাই চালক পাখির মতো, স্বস্তি নেমে এসেছে জীবনে। টানা কয়েক দিনের গরমে জীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন নগরবাসীর। যদিও ভারী বর্ষনের ছোঁয়া লাগেনি, তবুও এ বৃষ্টি যেন স্বস্তি দিয়েছে সকলকে।
এ ব্যাপারে খুলনা আঞ্চলিক আওহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ এ জানান, হালকা থেকে মাঝারী। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গপোসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াস দুপুর ১২ নাগাদ দামরার উত্তরে এবং বালা শহরের দক্ষিন দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরো উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পরিবর্তে ৩/৪ঘন্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য চট্টগ্রাম, পয়রা ও মোংলা বন্দরে ৩নং স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এই প্রবল ঘূর্নিঝড় অতিক্রম কালে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট উপকূলীয় জেলা সমূহ এবং অদূরবর্তী জেলা ও চরসমূহে মাঝারী থেকে ভারী বর্ষন হতে পারে এবং ঘন্টায় ৬০-৮০কিঃমিঃ বেগে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। অতিপ্রবল ঘূর্নিঝড় ও পূর্নিমার প্রভাবে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর , বরগুনা বরিশাল জেলা সমূহের নিন্ম অঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৬ ফুট অধিক উচ্চতর জোয়ারে প্লাবিত হতে পারে বলে জানান।
(ঊষার আলো-আরএম)