জেলার ৩ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।ধান কাটা শুরু থেকে কোন বৃষ্টি কিংবা ঝড় না হওয়ায় কৃষকরা মাঠ থেকে ধান কেটে বাড়ি নিয়ে গিয়ে মাড়াই করে ঘরে তুলত সক্ষম হচ্ছেন।ইতোমধ্যে জেলায় আবাদ হওয়া জমির প্রায় ৭৫ শতাংশ পাকা ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে।ধান কাটার শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত ঝড়-বৃষ্টিতে আক্রান্ত না হলে এ জেলার কৃষকরা আবাদ হওয়া মোট ৫০হাজার ২৩০ হেক্টর জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবেন।বাজার দর ভালো মিললে মুনাফার সম্ভাবনা দেখছেন চাষিরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,নড়াইলের ৩ উপজেলায় চলতি মৌসুমে মোট ৫০হাজার ১৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে মোট ৫০হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে।এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে,লোহাগড়া উপজেলায় ১০ হাজার ৩৩৭ হেক্টর জমিতে এবং কালিয়া উপজেলায় ১৬হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে।আবাদ হওয়া জমি থেকে ২লাখ ২২ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভিন্ন উপজেলায় দেখা গেছে, ধান কাটা, আটি বাঁধা ও বয়ে বাড়ি নেয়াসহ মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।গত কয়েকদিনের প্রচন্ড দাবদাহে ঘরে বসে নেই তারা।রোদের তাপমাত্রা বাড়ার আগে ভোর থেকে মাঠে গিয়ে ধান কাটছেন কৃষকরা।
নড়াইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিপু মজুমদার বাসসকে জানান, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে বোরো আবাদে কৃষকদের সার্বিকভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।চারা রোপণ থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত কৃষকদের পাশে আছে কৃষি বিভাগ।ধান সম্পূর্ণ কেটে ঘরে তোলা পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হবে। কৃষকের মুখে হাসি ফুটবে।