নাশকতা মামলায় খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ ৬৪ জন নেতাকর্মীকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৭ মার্চ) খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: জুয়েল রানা এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় আদালত চত্বরে বিএনপি মঞ্জু সমর্থক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মো: ছায়েদুল হক শাহিন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের ৩ অক্টেবর রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে জোড়াগেট সিএন্ডবি কলোনীর মাঠ থেকে সরকার উচ্ছেদ, বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র ধ্বংস, নাশকতা করার উদ্দেশ্যে বিএনপি এবং জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা রড, বাাঁশের লাঠি ও ইটের টুকরো নিয়ে খুলনা বেতার কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছে। ওইদিন রাত পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছামাত্র বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা বাঁশের লাঠি এবং ইটের টুকরো রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ রড, বাঁশের লাঠি এবং ইটের টুকরো জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এ ঘটনায় ওইদিন রাতে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই রহিত কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে ছাত্রদল নেতা মো. শরীফুল ইসলাম বাবু ও বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান মুরাদসহ ১৬ জনের নামসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জন নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পল্লব কুমার সরকার ৭০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরমধ্যে বিভিন্ন সময়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়াও একজন আদালতে উপস্থিত হননি।
সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ২০১৮ সালে খুলনাসহ সরাদেশে একনায়কতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলমান ছিল। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আমাদের একটি মিছিল শিববাড়ি মোড় হয়ে শেখপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। সরকার পক্ষ আন্দোলন দমানোর জন্য বিভিন্নস্থানে ভাঙচুর করে আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। এটি পুলিশের একটি বানানো মিথ্যা মামলা। আজকে এ রায়ের মধ্য দিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ঊআ-বিএস