UsharAlo logo
শনিবার, ১৭ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নিত্যপণ্যের বাজারে উত্তাপ : কাঁচা লঙ্কার ডাবল সেঞ্চুরি

koushikkln
জুলাই ১৪, ২০২২ ১১:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : ঈদের পর নিত্যপণ্যে ও কাঁচাবাজাওে উত্তাপ বেড়েছে। ইতিমধ্যে কাঁচা মরিচের দাম ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। বেড়েছে মাছ, তরিতরকারি দাম। আগে যেসব জিনিসের দাম বাড়তি ছিল, তার বেশির ভাগের দাম এখনও মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) মহানগরীর খুলনার সন্ধ্যা বাজার, নিউমার্কেট, নতুন বাজার, জোড়াকল বাজারসহ বিভিন্ন ছোটখাট বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেঝে।
বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সব ধরনের মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা। রুই ৩০০-৩৫০ টাকা, কাতল ৩০০-৩২০, শিং ৫৫০, পাবদা ৪৫০, চিংড়ি ৬০০-৮০০, ইলিশ (কেজি) ১৫০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির দাম ঈদের সময়ের তুলনায় ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৫০ টাকা, কক ২২০-২৪০, দেশি মুরগি ৬৪০, লেয়ার ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে গরু মাংসের চাহিদা কম থাকলেও দাম কমেনি। ঈদের সময় যে দামে বিক্রি হয়েছে, আজও একই দামে গরুর মাংস ৭০০ এবং খাসির মাংস ১০০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা মরিচ আজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। ঈদের আগে কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। ঈদের সময় শসা ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হলেও তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, গাঁজর ১০০ থেকে ১২০০ টাকা প্রতি কেজি।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব সবজির দামও বেড়েছে। সব সবজিই কেজিতে ১০/২০ টাকা করে বেড়েছে। করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি, পেঁপে ৩০ টাকা, ঢেড়স ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, লেবু প্রতি ডজন ১৫-২০ টাকা, কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।
চাল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে বাজারে চাহিদা মতো নাজিরশাইল চালের সরবরাহ নেই। যে কারণে এক কেজি নাজির ৭৫ টাকা থেকে এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে ৪৬ টাকার পাইজাম আজ বিক্রি হচ্ছে কেজি ৫০ টাকা। ৫৪টাকা কেজির আটাশ চালের আজকের দাম ৫৮টাকা। মিনিকেট চাল ৬২ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।

নগরীর নিউ মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, কয়েকটি কোম্পানির হাতে শুধু চাল নয়, নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে তেল, পেঁয়াজ, চিনি, আটা-ময়দার মতো নিত্যপণ্য। এসব কোম্পানি একজোট হয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে। আমদানি, উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, মূল্য নির্ধারণ-সবকিছুই এসব কোম্পানিরা বসে নির্ধারণ করে।
এদিকে, বাজারে পেঁয়াজ ৪০-৪৫ টাকা, ভোজ্যতেল ১ লিটার ১৯৮, ২লিটার ৩৯৪, ৫লিটার ৯৮৫, মসুর ডাল ১৪০, ডিম (ডজন) ১২০, আদা ১২০, রসুন ১৮০, আলু ৩০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। চিনি (সাদা) ৮৫-৮৭ টাকা, চিনি (লাল) ১০০-১১০, গুড়ো দুধ ৫০০ গ্রাম ৪০০-৪২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ব্যবসায়ীদের অজুহাতের সীমা নেই। তারা কারণে-অকারণে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছেন। তাদের এ অসৎ প্রবণতা ঠেকাতে দেশে আইনও আছে। তবে সে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন নেই। ফলে দিন দিন ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছেন। এ ব্যাপারে সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে।