আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের এক নেতাকে। থানায় রাখা হয় তাকে। এর মধ্যে সেই ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়তে থানার ওসিকে ফোন দেন থানা ছাত্রদল সভাপতি। ঘটনাটি রাজধানীর বিমানবন্দর থানার।
ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়ার জন্য ওসিকে ফোন দেওয়ার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করেছেন বিমানবন্দর থানা ছাত্রদল সভাপতি রিপন। তবে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি ছাত্রলীগ করতো বলে জানতেন না তিনি।
গ্রেফতার হওয়া রকিবুল ইসলাম নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বিমানবন্দর এলাকায় আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলে সম্পৃক্ততার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে রকিবুলকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ। এরপরেই তাকে ছাড়ার জন্য ওসিকে ফোন দেন রিপন। এমনকি ওই ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে স্থানীয় ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মীকেও থানায় পাঠান তিনি।
এ বিষয়ে বিমানবন্দর থানার ওসি তসলিমা আক্তারের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
সূত্র জানায়, ছাত্রলীগ নেতা রকিবুলকে ছাড়িয়ে নিতে ওসির রুমে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের একটি গ্রুপ অবস্থান করছে। তাকে না ছাড়লে বিমানবন্দর রেলপথ অবরোধ করার হুমকি দিয়েছেন কয়েকজন ছাত্র প্রতিনিধি।
অভিযোগের বিষয়ে বিমানবন্দর থানা ছাত্রদল সভাপতি রিপন বলেন, ‘আমি জানতাম না ও ছাত্রলীগ করে। এলাকার বড় ভাই টিপু আমাকে বিষয়টা জানিয়েছিল। তাই ওসিকে ফোন দেই।’
জানা গেছে, টিপু ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। তিনি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈমের অনুসারী।
ঊষার আলো-এসএ