ঊষার আলো রিপোর্ট : আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকায়ই দেশের উন্নয়নের একমাত্র হাতিয়ার। এই নৌকা হলো নুহ (আ.) নবীর নৌকা। এই নৌকায় মানবজাতিকে রক্ষা করেছিলেন রাব্বুল আলামিন। এই নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আবার নৌকা যখন ক্ষমতায় এসেছে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে।এই নৌকা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছে। এই নৌকাই স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ে তুলবে।
শেখ হাসিনা জনসভার সবাইকে হাত তুলে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ার ওয়াদা করতে বললে সবাই হাত তুলে নৌকায় ভোট দেওয়ার ওয়াদা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা সকাল সকাল ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সবাই নৌকায় ভোট দেবেন। কারণ, এই নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমাদের দেশকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা সেটি হতে দেব না।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। মাত্র তিন বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাথাপিছু আয় ২৭৭ ডলারে উন্নীত করেন। ৭৫’ এর পরে জিয়াউর রহমানসহ যারাই ক্ষমতায় এসেছে এ দেশের মানুষের আয় তারা বাড়াতে পারেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জিয়া সব রাষ্ট্রীয় অর্থ সম্পদ দিয়ে কিছু লোককে ধনিক শ্রেণিতে তৈরি করে তাদের মাধ্যমে জনগণের ভোট চুরি করে। পরে সংবিধান লঙ্ঘন করে সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির মতো দুইটা গুরুত্বপূর্ণ পদ বেআইনিভাবে দখল করে প্রহসের নির্বাচন করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়। পরে রাজনৈতিক কিছু উচ্ছিষ্ট থেকে তৈরি হয় বিএনপি নামের সংগঠন। আর যারা যুদ্ধাপরাধী তাদের জিয়াউর রহমান ফিরিয়ে আনে। তাদের নিয়েই রাজনীতি করে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত খুনির দল। জিয়া খুনি, খালেদা জিয়া খুনি, তারেক রহমান খুনি। বিএনপি খুনিদের দল। এরা মানুষ পুড়িয়ে মারে। ট্রেনে কোলে শিশুসহ মাকে পুড়িয়ে মেরেছে। সেই ঘটনা সারা বিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছে, কিন্তু তাদের (বিএনপি) নাড়া দেয়নি।এই বিএনপি সন্ত্রাসীর দল। আর জামায়াত যুদ্ধাপরাধীর দল। এদের রাজনীতি করার অধিকার নেই।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে একনজর দেখতে মাদারীপুরের কালকিনিতে জনসভায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। এই উপস্থিতির বড় একটি অংশ নারী। টানা ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকায় নারীদের সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকরির সুযোগের পাশাপাশি সংসদেও কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ায় আনন্দে আত্মহারা নারী নেত্রীরা। স্লোগান দিয়ে দলে দলে মাঠে যোগ দেন নেতাকর্মীরাও। সবার মুখেই উন্নয়নের সুর। আওয়ামী লীগ সভাপতিকে কাছে পেয়ে উৎফুল্ল সবাই। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ছোটবোন শেখ রেহানাও।
জনসভাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় তৎপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ ও মাদারীপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী নূর-ই আলম চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের নৌকার প্রার্থী শাজাহান খান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা-৮ আসনের নৌকার প্রার্থী আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং মাদারীপুর-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
ঊষার আলো-এসএ