ঊষার আলো রিপোর্ট : জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর রাজনের মুক্তির দাবিতে সিলেটে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন শ্রমিকদের ধর্মঘট। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূরপাল্লারসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় যেতে চাওয়া যাত্রীরা।
এর আগে, গতকাল রোববার বিকেলে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ময়নুল ইসলাম।সরেজমিনে দেখা গেছে, দক্ষিণ সুরমার কদমতলী বাস টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার কোনো বাস। সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে বিভিন্ন পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস সমূহ। সিলেট কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড থেকেও আজ ভোর থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো বাস।
এদিকে, বাস না ছাড়লেও সড়কে প্রচুর যাত্রীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে দূরপাল্লার যাত্রীদের গণপরিবহনের অপেক্ষায় ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে ও বসে থাকতে দেখা যায়।ছাতকে যাওয়ার জন্য কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রী স্কুল শিক্ষক আব্দুল কাদের বলেন, প্রতিদিন বাসে যাতায়াত করি। সকালে বাসস্ট্যান্ডে এসে বিপাকে পড়েছি।
সিলেট জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি ময়নুল ইসলাম বলেন, ধর্মঘট পালন ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় ছিল না। সমিতির গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন আলী আকবর রাজন। গত দেড় মাস ধরে তিনি কারাগারে বন্দি আছেন। তার অনুপস্থিতিতে অফিসের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। আলী আকবরের জামিনের জন্য বারবার আবেদন করা হয়েছে। এমনকি বিভাগীয় কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সমিতির পক্ষ থেকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। এরপরও তাকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি বলেন, জামিন না হওয়া পর্যন্ত সব বাস, মিনিবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, লেগুনা ও ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকবে। আলী আকবরের মুক্তির দাবিতে প্রয়োজনে বিভাগীয় পর্যায়ে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরের সুরমা মার্কেট এলাকা থেকে আলী আকবরকে গ্রেপ্তার করে সিলেট মহানগর পুলিশ। শ্রমিক ইউনিয়নের পাশাপাশি তিনি সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন।
গ্রেপ্তারের পর সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মাহমুদ বলেছিলেন, ২০১৮ সালের একটি মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি হিসেবে আলী আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ঊষার আলো-এসএ