ঊষার আলো ডেস্ক : বর্তমানে খুলনা শহরের বেশির ভাগ অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্যানিটেশন ব্যবস্থার বেহাল অবস্থা। ফলে স্কুলগুলোতে আসা অধিকাংশ শিক্ষার্থী টয়লেট ব্যবহার করতে চায় না। তবে বেশি অনীহা দেখায় মেয়ে শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষার্থীরা এভাবে টয়লেট ব্যবহার থেকে বিরত থাকলে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে। পাশাপাশি শ্রেণি কক্ষে মনোযোগ কেন্দ্রীভূতকরণেও সমস্যা হয়। জেলায় বাল্যবিবহি বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনকি নারির প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। সুশিল সমাজের জবাবে মহিলা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক হাসনা হেনা বলেন, পরিবার থেকে নারীর প্রতি সম্মানের শিক্ষা দিতে হবে। বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক অপরাধ। বাল্যবিবাহ যখন হয়, তখন তা একটি পরিবার থেকেই হয়। তাই বাল্যবিবাহ নিজেদের পরিবারেই প্রথম রোধ করতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সকল প্রকার সামাজিক বাধাসমূহ রোধ করা সম্ভব। নারীর সম্মান, অধিকার নিশ্চিত করতে আমাদের প্রত্যেককে নিজ নিজ পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে। সহিংসতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরদার করতে হবে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১০টায় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কার্যলয়ে নাগরিক সংগঠণ জনউদ্যোগ,খুলনার আায়োজনে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ, বাল্যবিবাহ বন্ধ ,অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্যানিটেশন সংকট রিরসনের জন্য মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালকের সাথে সুশীল সমাজের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ,খুলনার নারী সেলের আহবায়ক এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব একুশে টেলিভিশনের বিভাগীয় প্রতিনিধি মহেন্দ্রনাথ সেন। মূখ্য আলোচক ছিলেন দৈনিক কালের কন্ঠের ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অজন্তা দাস, সোনালী দিন প্রতিবন্ধী সংস্থার সভাপতি ইসরাত আরা হীরা, দলিতের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ধরা দেবী দাস, খুলনা আর্ট স্কুলের পরিচালক বিধান চন্দ্র রায়, কারিশমা চৌধুরি, লতা রানী, মুক্তা জামান, মুস্তাফিজুর রহমান, ফারহানা রহমান, ফারহানা রহমান, জয় বৈদ্য, সুমাইয়া আক্তার রুশা প্রমুখ।