UsharAlo logo
শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাইকগাছার আলোচিত মিনহাজ নদীর পানি উঠানো নিয়ে জটিলতা

koushikkln
এপ্রিল ১৬, ২০২২ ৭:৫১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি : পাইকগাছার বহুল আলোচিত মিনহাজ বদ্ধ নদীর পানি উঠানোকে কেন্দ্র করে এক ধরণের সংকট তৈরী হয়েছে। ইজারাদারসহ এলাকার অনেকেই স্লুইচ গেট দিয়ে পানি উত্তোলন করতে চাই। আবার কৃষি ফসল নষ্ট হবে এমন আশংকায় পানি উঠানো বন্ধ করার পক্ষে রয়েছেন অনেকেই। সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের লক্ষে সরেজমিন পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর সাথে মতবিনিময় করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা।

সূত্র মতে উপজেলার গড়ইখালী, লস্কর ও চাঁদখালী ইউনিয়নের সীমান্ত দিয়ে প্রবাহিত এলাকার ঐতিহ্যবাহী মিনহাজ বদ্ধ নদী। ২৫২ একর আয়তনের বদ্ধ নদী দিয়ে এক দিকে যেমন বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের পানি নিস্কাষিত হয়, ঠিক তেমনি নদীর পানি দিয়ে কৃষি ফসল উৎপাদন ও মৎস্য চাষ করে থাকেন এলাকাবাসী। বদ্ধ নদীটি ৬ বছরের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ইজারা প্রদান করা হয়েছে। ২৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা বার্ষিক হারে এলাকার বন্ধন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি জলমহলটি ইজারা নিয়েছে। ইজারার মেয়াদ আগামী ২ বছর বহাল রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতেই গোটা উপজেলায় লবণ পানি উত্তোলন বন্ধ রাখার ঘোষণায় মিনহাজ নদীর স্লুইচ গেটটিও বন্ধ রাখা হয়। সমসাময়িক সময় উপজেলার প্রায় সমস্ত এলাকায় লবণ পানি উত্তোলন করার মাধ্যমে চিংড়ি চাষ পুরোদমে শুরু হওয়ায় অন্যান্য এলাকার ন্যায় মিনহাজ নদীতে পানি উত্তোলন করতে চাই মৎস্যজীবী সমিতি ও এলাকার অনেকেই। গেটটি বন্ধ থাকায় নদীটি প্রায় শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানিয়েছেন অহেদুজ্জামান খোকন।

অপরদিকে এলাকার অনেকের দাবি এই মুহূর্তে স্লুইচ গেট দিয়ে পানি উত্তোলন করলে নদীর ধারের কৃষি ফসল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। মনি জানান, এখন নদীতে পানি তুললে আমাদের ঘর-বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। পাশাপাশি এই মূহুর্তে নদীটি খনন করা জরুরী হয়ে পড়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন জানান, কে পানি তুলবে আর কে তুলবে না এটা দেখভাল করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকার জনস্বার্থকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আশা করি এলাকার জনস্বার্থের কথা বিবেচনা করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিবেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজু হাওলাদার জানান, শনিবার সরেজমিন পরিদর্শন করে নদীর আশে পাশের সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর মতামত নিয়েছি। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। পানি উঠানো হবে কি হবে না এ ধরণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ।