মোঃ আব্দুল আজিজ, পাইকগাছা, খুলনা : পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে দেড় হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। বিগত বছরের চেয়ে এ বছর ফলন ভাল হয়েছে এবং গত বছরের তুলনায় লাভ অনেক বেশি হবে বলে আশা করছেন তরমুজ চাষীরা।
সূত্র মতে, লবণ অধ্যুষিত অত্র উপজেলার অর্থকারি কৃষি ফসলের মধ্যে তরমুজ অন্যতম। যদিও অন্যান্য ফসলের ন্যায় উপজেলার সবখানে তরমুজের আবাদ হয় না। মূলত তরমুজের আবাদ হয় উপজেলার দু’টি ইউনিয়নে। যার একটি হচ্ছে দেলুটি এবং অপরটি হচ্ছে গড়ইখালী ইউনিয়ন। দুই ইউনিয়নের মধ্যে বরাবর দেলুটি ইউনিয়নে তরমুজের বেশি আবাদ হয়ে থাকে। এ বছরও তার ব্যাতিক্রম হয়নি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে উপজেলায় দেড় হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে যার মধ্যে দেলুটিতে ১ হাজার হেক্টর এবং গড়ইখালীতে ৫শ হেক্টর। দেলুটিতে ড্রাগন, পাকিজা, সুইট ড্রাগন ও ফ্যামিলি-০১ জাতের এবং গড়ইখালীতে ড্রাগন, ড্রাগন সুপার, থাইল্যান্ড-০২, পাকিজা বিগটার্চ, বিগ পাঞ্জাব ও রিজেন্ট-২ জাতের তরমুজের আবাদ হয়েছে। বর্তমানে ফলে ফলে ভরে গেছে তরমুজের প্রতিটি গাছ ও ক্ষেত। ইতোমধ্যে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার এএইচএম জাহাঙ্গীর আলমসহ কৃষি বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা তরমুজের ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিসারসহ কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা নিবিড় পর্যবেক্ষন ও তদারকি করছেন তরমুজ ফসল। কৃষি বিভাগের সার্বিক তদারকি ও চাষীদের নিবিড় পরিচর্যার ফলে বিগত বছরের তুলনায় এ বছর তরমুজের ভাল ফলন হয়েছে।
গড়ইখালীর আমিরপুর গ্রামের প্রকাশ মন্ডল বলেন, এ বছর আমি ৭০ বিঘা জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। ভাল ফলন হয়েছে, লাভ ও ভাল হবে বলে আশা করছি।
দেলুটির সৈয়দখালী গ্রামের শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, আমি ১০ বিঘা জমিতে তরমুজের চাষ করেছি। ভাল ফলন দেখে আশা করছি এ বছর অনেক লাভ হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, অত্র এলাকার দুটি ইউনিয়ন তরমুজ চাষের জন্য অত্যান্ত সমৃদ্ধ। এ এলাকার তরমুজের ভাল উৎপাদন এবং স্বাদের হয়ে থাকে। যার ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে এখানকার তরমুজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ বছর প্রতিটি কৃষকের ভাল ফলন হয়েছে। আশা করছি আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে কৃষকরা তরমুজ বাজার জাত শুরু করতে পারবে। ভাল ফলন হওয়ায় কৃষকরা খুশি এবং এবছর তারা অনেক লাভবান হবে বলে আশা করছি।