পিরোজপুর প্রতিনিধি : “আসমানীদের দেখতে যদি তোমরা সবে চাও, তোমরা সবে রসুলপুরে যাও” ঘর তো নয় ভেন্না পাতার ছাউনি, একটু বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পরে পানি”- সাহিত্যিকের এই ছড়ার বাস্তবে চিরাপাড়া গ্রামে দেখা যায় হোসনেয়ারার বাড়িতে। পিরোজপুরের কাউখালীর ঝি এর কাজ করা হোসনেয়ারা বেগম সরকারি ঘর না পেয়ে একটি জড়াজীর্ণ ভাঙ্গাঘরে দীর্ঘদিন যাবৎ ১ ছেলে ২ মেয়ে নিয়ে বসবাস করছে। মানবতারও নিচে নেমে এই ভাঙ্গা ঘরে রাত-দিন আতঙ্কের মধ্যে মাথা গুজে বাস করছেন এ পরিবার। ভূমিহীন হিসেবে সরকারিভাবে পাওয়া ৬শতক জমি শেষ সম্বল হিসেবে রয়েছে। উপজেলার ৪নং চিরাপাড়া ইউনিয়নের চিরাপাড়া গ্রামে রাসেল হোসেনের স্ত্রী হোসনেয়ারা বেগম অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন। স্বামী রাসেল ভাঙ্গা ঘরে ১০ বছর পূর্বে ১ ছেলে ২ মেয়েকে রেখে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। স্বামীর খোঁজ খবর না পেয়ে অন্যের বাড়িতে হোসনেয়ারা ঝি এর কাজ করে যা পায় তা দিয়ে সন্তানদের মুখে অন্ন জোগান দিতেই হিমশিম খেয়ে যায়। এর উপর একটি ঘর তৈরি করা তার পক্ষে সম্পূর্ণরূপে অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ঝড় বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ এই ঝুপরি ঘরেই সন্তানদের নিয়েই থাকতে হয়। হোসনেয়ার আক্ষেপ সরকার এত ঘর তৈরি করে দেন অথচ বারবার আবেদন করেও কোন ঘর এখনও ঘরের সন্ধান পাননি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা জানান, যাদের ঘর নেই জমি নেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তাদের ঘর নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। জমি আছে ঘর নেই তাদের তালিকা হচ্ছে এ তালিকার মধ্য হতে তার ঘরের ব্যবস্থা করা হবে।
(ঊষার আলো-আরএম)