UsharAlo logo
শনিবার, ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রবীণদের মেধা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েদেশকে গড়তে হবে

koushikkln
অক্টোবর ১, ২০২২ ১১:০২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : আমাদের দেশে মোট জনসংখ্যার একটি বিরাট অংশ প্রবীণ। এ প্রবীণ জনগোষ্ঠী পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রে কোথায় কী অবস্থায় রয়েছে, তার খবর কেউ রাখে বলে মনে হয় না। অথচ প্রবীণরাই এই দেশ, সমাজ তথা পরিবারের জন্য একসময় বিরাট অবদান রেখেছেন। যারা স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন, এ দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন, তাদেরও অনেকে আজ কমবেশি বার্ধক্যের দ্বারপ্রান্তে উপনীত। বার্ধক্যের স্বাদ সবাইকেই গ্রহণ করতে হবে। জন্মিলে যেমন মৃত্যু অনিবার্য, তেমনি বেঁচে থাকলে প্রত্যেক মানুষকেই বার্ধক্যের স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। এ থেকে কোনো নিস্তার নেই। এভাবে বললেন প্রবীণ দিবসে সিনিয়র সিটিজেনদের অড্ডায় বক্তারা।

শনিবার (০১ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় দৌলতুন্নেছা কিন্ডার গার্ডেনের মিলনায়তনে গুণীজন স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে বিশ্ব প্রবীণ দিবস উপলক্ষে সিনিয়র সিটিজনদের আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু। সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক মহেন্দ্র নাথ সেন।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডঃ আফম মহসীন, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাডঃ আব্দুল্লাহ হোসেন বাচ্চু, খুলনা চেম্বার অব কমার্স এর পরিচালক গোপী কিষাণ মুন্ধড়া, এটিএন বাংলা এর স্টাফ রিপোর্টার এস এম হাবিব, খুলনা নজরুল একাডেমী সাধারণ সম্পাদক মাছুদ মাহমুদ, সিটি ল কলেজের অধ্যক্ষ এম এ আউয়াল রাজ,লেখিকা সংঘের আলেয়া নাসরিন, রিজওয়ানা শর্মিলী, অবসরপ্রাপ্ত পৌবশলী রেজাউল হক সিদ্দিকী, সাংস্কৃতিক কর্মী আইনুল্লাহ পারভেজ,মেট্রোপলিটন লায়ন্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান পলাশ, ট্রেজারার মির্জা নূরুজ্জামান, ফিটনেস ফার্স্ট হেলথ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সিংহ প্রমুখ।
প্রতি বছরই প্রবীণ দিবসে নতুন নতুন প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে এর কতটুকু প্রয়োগ করা হয়? প্রকৃতপক্ষে পরিবার ও সমাজে প্রবীণদের বোঝা মনে করা হয়। তাদের সম্মান, মর্যাদা কিংবা কষ্টের কথা কেউ ভাবেন বলে মনে হয় না। অথচ প্রবীণদের মেধা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগামী দিনগুলো তাদের সঙ্গে নিয়ে চলতে পারলে পরিবার, সমাজ, সর্বোপরি দেশ অনেক বেশি উপকৃত হতে পারত।
প্রবীণদের মর্যাদাপূর্ণ, দারিদ্র্যমুক্ত, কর্মময় ও নিরাপদ সামাজিক জীবন নিশ্চিত করা এবং জাতীয় নীতিমালায় প্রবীণ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা সুনির্দিষ্ট করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।