ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমামের ১৯তম হত্যাবাষির্কী আজ। ২০০৩ সালের এ দিনে তিনি নিজ বাসভবনের অদূরে আততায়ীর গুলি ও বোমা হামলায় নিহত হন। এ সময়ে তাঁকে বহনকারী রিক্সাচালক শহীদুল ইসলাম আকন্দ নিহত ও সহকারী অ্যাডভোকেট বিজন বিহারী মন্ডল গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ আগস্ট অ্যাডভোকেট বিজন বিহারী মন্ডলও মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন জামী বাদি হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় সন্ত্রাসীদের আসামি করে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে খুলনা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
আদালত ও আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন আইনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর খুলনার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল হত্যা মামলা রায় প্রদান করে। রায়ে মামলার সকল আসামী বেকসুর খালাস পান।
সেই সময়ে আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, ‘মামলা সম্পর্কিত চাক্ষুস সাক্ষী না থাকায় এই ট্রিপল হত্যাকান্ডের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় সব আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হলো। পাশাপাশি মামলার তদন্তের প্রথমদিকে বারবার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করার ফলে মামলার মেরিট নষ্ট হয়ে যায়। পুলিশের তদন্ত সঠিকভাবে হয়নি।’
অপরদিকে মঞ্জুরুল ইমামসহ ট্রিপল হত্যা ঘটনার বিস্ফোরক অংশে ২০০৪ সালের ১১ মার্চ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন খুলনা নগর গোয়েন্দা পরিদর্শক মো. শাহজাহান হাওলাদার। এতে অভিযুক্ত ছিলেন চরমপন্থী নেতা শুকুর গাজী, শেখ আব্দুল রাব্বি ওরফে রিপন, গণেশ ব্যানার্জী, ইমাম সরদার ওরফে হাসান ইমাম। ইমাম সরদার জামিনে থাকাবস্থায় ২০০৫ সালে ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন। ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল বিস্ফোরক আইনের মামলায় চরমপন্থি দলের সক্রিয় সদস্য শুকুর গাজীকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়। অপর দু’আসামী খালাস পান।
অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ ও তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে হত্যাস্থলে নির্মিত স্মৃতি স্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, শোক শোভাযাত্র, দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিল।