ঊষার আলো ডেস্ক : গভীর শ্রদ্ধা ও বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১ টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা জেলা তাঁতীলীগ এর উদ্যোগে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাত বার্ষিকি পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ হারুনুর রশিদ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ট সন্তান। তার বীরত্বের কারণে আজ আমরা স্বাধীনতার স্বাধ পেয়েছি। যিনি এদেশের মানুষকে মুক্ত করতে বারবার মৃত্যুর সম্মুখে যেতেও কুন্ঠাবোধ করেন নি। দেশের জন্য দেশের মানুষকে স্বাধীন করার জন্য যার এত ত্যাগ, তাকেই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এদেশের কিছু কুলাঙ্গার, স্বাধীনতা বিরোধী বিদেশী দালালদের হাতে প্রাণ দিতে হলো। তিনি স্বপ্ন দেখতেন সোনার বাংলা গড়ার, কিন্তু ঘাতকেরা তার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার আগেই তাকে নিচিন্ন করে দেয়। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুকে অপরিকল্পণীয় ভাবে সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর একমাত্র ভাই শেখ আবু নাসের খুলনাঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন, তিনিও মুক্তিযুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যুদ্ধ পরবর্তী বিধস্ত বাংলাদেশের যুবসমাজকে সু-সংগঠিত করে এদেশের উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহনে শেখ ফজলুল হক মনির গরুত্বপুর্ণ অবদান রয়েছে। কিন্তু ঘাতকেরা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট তাদের সবাইকে হত্যা করে। এমনকি তাদের হাত থেকে রক্ষা পায় নাই বঙ্গবন্ধুর আদরের সর্বকনিষ্ট পুত্র শেখ রাসেল। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, ঘাতকেরা সেদিন বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী রাজনীতিকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল।
খুলনা জেলা তাঁতীলীগের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম ইমনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কাজী আজাদুর রহমান হিরকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট আইনজীবী এ্যাড. সুজিত অধিকারী, সহ-সভাপতি বিএমএ সালাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান জামাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ খান জবা, সদস্য পাপিয়া সরোয়ার শিউলি, মোঃ জামিল খান, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সরদার জাকির হোসেন। এছাড়াও শোকসভা শেষে খাবার বিতরণ করা হয়।
এসময় অন্যাণ্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, খুলনা মহানগর তাঁতীলীগ সভাপতি সাব্বির আহমেদ শুভ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ তাঁতীলীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিঃ মোঃ বরকত হোসেন, সোহেল খান, রাসেল হাওলাদার, শংকর, মিহির বিশ্বাস, মিনার, নীলাদ্রী নিলয়, জিএম জাহাঙ্গীর আলম, মিলন মল্লিক, মোহাম্মদ তপু, রেবা সুলতানা, পবিত্র বাড়ৈ মানিক, রাকিবুল হাসান, জীবন সরদার, ইঞ্জিঃ বিপ্লব রায়, নাজনীন সুলতানা, পপি তরফদার, শবরী মিস্ত্রি, মাসুদ রানা প্রমুখ।