UsharAlo logo
শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যায় সৃষ্ট দুর্ভোগ নিরসনে সরকারের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না: রিজভী

ঊষার আলো ডেস্ক
অক্টোবর ২০, ২০২৪ ৭:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাম্প্রতিক বন্যায় সরকারের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রোববার (২০ অক্টোবর) নয়াপল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন,  নিত্য পন্যের দাম নাগালে রাখতে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেরপুর, নেত্রকোণাসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলে বন্যায় এবং প্রবল বর্ষণে কুষ্টিয়া, যশোর, খুলনায় ব্যাপক জলাবদ্ধতার কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগ নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে তেমন একটা তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। দেশের পূর্বাঞ্চলে বন্যায় যেভাবে সরকারি বেসরকারী উদ্যোগে ব্যাপক তৎপরতা দেখা দিয়েছিল সেটি বর্তমানে দেখা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় কৃষক ও খামারিদের অতি দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। বন্যাকবলিত মানুষ ও তাদের পরিবারের দুরাবস্থার বিষয়টি সরকারকেই প্রধান ভূমিকা রাখতে হবে। বাজারে চাল- ডাল- সবজি- মাছ- মাংস- ডিমের সরবরাহ ঠিক রাখতে হলেও সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে। সার, কীটনাশক ও বীজের সরবরাহ বাড়িয়ে কিংবা প্রণোদনা দিয়ে কৃষক ও খামারিদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সুযোগ সন্ধানীরা নানা খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে। সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।

এ সময়ে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি তুলে ধরে রুহুল কবির রিজভী। দাবিগুলো হল- বন্যার পানিতে যাদের জমির ফসল বিনষ্ট হয়ে গেছে তাদের সঠিক তালিকা প্রনয়ণ করে আগামী ফসল না উঠা পর্যন্ত তাদেরকে সর্বাত্মক ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা, আগামী ফসলের জন্য সুদমুক্ত কৃষি ঋণ প্রদান ও বিনা মূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক, সেচের তেলের ব্যবস্থা করা। আগামী ফসলের আগে রবি শষ্য উৎপাদনের জন্য তাদের মধ্যে রবি শষ্যের বীজ প্রদান করা।

বন্যার পানিতে যে সকল মৎস্য, হাঁস-মুরগি, গবাদি পশুর খামার বিনষ্ট-মৎস্য, হাঁস-মুরগি গবাদি পশু ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের সঠিক তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করে পুনরায় খামার প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের সুদমূক্ত ঋণসহ অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা।

এছাড়া বন্যার পানিতে যাদের বাড়ি-ঘর আংশিক ও পুর্নাঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেছে, তাদের তালিকা তৈরি করে ঘর-বাড়ি পুন:নির্মাণে সহায়তা প্রদান করতে হবে, নদীর বাঁধ ভেঙ্গে যে সকল গ্রাম-পাড়া-মহল্লা বিলীন হয়ে গেছে, সে সকল স্থানে বসবাসকারীরা বর্তমানে উদ্বাস্ত হয়ে গেছে, তাদেরকে সরকারি খাস জমিতে/আশ্রয়ন প্রকল্পে স্থানান্তরিত করা।

যে সকল বাঁধ, রাস্তা, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দিরসহ অন্যান্য ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আংশিক ও পুর্নাঙ্গ ধ্বংস হয়ে গেছে, সেগুলো সংস্কার ও পুণ:নির্মাণ করা।

কোনক্রমে ডিজেল-পেট্রোলের দাম বাড়ানো যাবো না বলেও এ সময় উল্লেখ করেন রুহুল কবির রিজভী।