ঊষার আলো ডেস্ক : জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ ও আগস্টের প্রথম সপ্তাহে টানা বৃষ্টিতে খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, রূপসা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায় ধানের বীজতলায় পানি জমে প্রায় অর্ধেক বীজতলা নষ্ট হওয়ায় পুনরায় চারা উৎপাদনে কৃষকদের বীজ সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন-এর কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা সাতক্ষীরার আশাশুনি, শ্যামনগর উপজেলাসহ এবং বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায় বীজতলা একইভাবে ক্ষতিগ্রস্তÍ হয়েছে। এমতাবস্থায় কৃষকদের নিকট অবশিষ্ট বা পর্যাপ্ত বীজ না থাকায় কৃষকরা মারাত্মকভাবে বিপাকে পড়েছেন। ডিলারদের নিকট বীজ মজুদ থাকার কথা থাকলেও তাদের নিকট থেকে কৃষকরা আশাব্যঞ্জক সাড়া পাচ্ছেন না। বাজারেও বীজের সংকট রয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সরকারিভাবে জরুরী ভিত্তিতে কৃষকদের মাঝে বীজ সরবরাহ করতে না পারলে অনেক জমি অনাবাদী থাকার সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান। নেতৃবৃন্দ এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বীজ সরবরাহের প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেনÑবাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি অ্যাড. নিত্যানন্দ ঢালী, সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত মুখার্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক জামসিদ হাসান জিকু, পাইকগাছা উপজেলা সভাপতি আজিজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর ম-ল, রূপসা উপজেলা সভাপতি উজ্জল পাল, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কুমার দাস, বটিয়াঘাটা উপজেলা নেতা মিহির সরকার, গৌতম রপ্তান, দাকোপ উপজেলা নেতা বনমালী বৈদ্য, বিশ্বজিৎ বাছাড়, ডুমুরিয়া উপজেলা নেতা নিশিকান্ত ফৌজদার প্রমুখ।