UsharAlo logo
শনিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রামপালে এলজিইডির সড়ক নির্মাণে ধীরগতি, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

pial
মে ২৮, ২০২২ ৪:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার রামপাল- বাঁশতলী আরসিসি সড়ক নির্মানের কাজটি ঠিকাদারের উদাসিনতার কারনে যথাসময়ে সম্পন্ন হচ্ছে না। বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের কাছে আসা সেবা প্রত্যাশীরা চরম দুর্ভোগ পড়ে নির্মান কাজ নিয়ে নানা সমালোচনা করছে।

অভিযোগ উঠেছে এ সড়কে নিম্ন মানের ইটের খোয়া ব্যবহার ও অ-পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা জড়িত থাকায় উপজেলা এলজিইডিসহ সংশ্লিষ্টরা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি সূত্র দাবী করেছেন।

রামপাল উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর থেকে জানা যায়, এ সড়কটি আরসিসি দ্বারা উন্নয়ন করা হচ্ছে। যার র্নিমান কাজের দায়িত্ব নিয়েছে খুলনার দৌলতপুর এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্স। প্রতিষ্ঠানটি ২ কোটি ৫৪ লাখ ৩৮ হাজার ২৫৫ টাকা ব্যয়ে ১.২০৫ মিটার চেইনের এ সড়কটি নির্মাণ করছে। প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করে ২০২০ সালের ১ মার্চ। যা শেষ হওয়ার কথা ২০২১ সালের ১ মার্চ। অথচ ১৫ মাস গত হলেও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি।

সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানা যায়. অর্ধেকের কিছু বেশী কাজ সম্পন্ন করতে পারলেও এখনও প্রায় ৫০০ মিটার কাজ পড়ে রয়েছে। ওই সড়কের অর্ধেক কাজ নির্মাণ সম্পন্ন হওয়া ও কাজের গুনগত মান ঠিক থাকলেও অপর অংশের ইটের খোয়া ফেলানো নিয়ে ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

এলাকাবাসীরা দাবী করেছেন ওই আরসিসি সড়কের সাথে দুইটি ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। ড্রেন দুটি সড়কের চেয়ে খানিকটা উচু হওয়ায় ও সড়কের পানি ড্রেনে না যাওয়ায় ড্রেন দুটি কোন কাজেই আসছে না বলে এলাকাবাসীর দাবী। বর্তমানে ড্রেন দুটি মশা উৎপাদনের খামারে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও অসমাপ্ত সড়কে নিম্ন মানের ইটের খোয়া ব্যবহার করায় স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা জনগুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি দ্রুত নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান সেখ মোয়াজ্জেম হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ওই এলাকার ঠিকাদারের লোকজন দুই গাড়ি নিম্ন মানের ইটের খোয়া ভুলক্রমে ফেলেছিল। আমি তাদের ওই নিন্মমানের খোয়া সরিয়ে এক নাম্বর খোয়া দিতে বলেছি। সড়কটির বাকী অংশ দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

কি কারণে বা কেন দীর্ঘ দিন ধরে সড়ক টি নির্মাণ কাজ পড়ে আছে এ বিষয়ে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান মাহাবুব ব্রাদার্সের কোন প্রতিনিধিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে রামপাল উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো গোলজার হোসেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট লোকদের ফোন নম্বর চাইলে তিনি সেটি দিতে পারননি। তিনি অনেকটা অপারগতার সূরে বলেন কারা কাজ করছে তা আপনারা খোজ করুন।

(ঊষার আলো-এফএসপি)