UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের বিপুল পরিমান অর্থ আত্মসাত

pial
জুলাই ৪, ২০২২ ৫:১১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : সভাপতির অনুপস্থিতিতে বাগেরহাট জেলা ইমারত শ্রমিক ইউনিয়নের কয়েক লাখ টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বপদে ফিরে ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ জামাল চৌধুরী ইউনিয়নের আয়কৃত অর্থের হিসাব না পেয়ে তসরুপ হওয়া অর্থ আদায়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রধান বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।

গত ৩০ জুন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবরে দেয়া ওই আবেদনে অভিযোগ করা হয়, শারিরিক অসুস্থতার কারনে প্রায় দুই বছর সভাপতি হিসাবে নিয়মিত অফিস করতে না পারার সুযোগে ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ কুদ্দুস শেখ, সহ-সাধারন সম্পাদক শেখ আব্দুল খোকন, কোষাধাক্ষ্য বারেক মৃধা ও দপ্তর সম্পাদক কালিদাসসহ আরো কয়েকজন ইউনিয়নের আয় ও ব্যায়ের হিসাব না রেখে কয়েক লাখ টাকা আত্মসাত করেছে। ইউনিয়ন কে ব্যবহার করে অসহায় মিস্ত্রিদের আপদকালীন বিষয়ে সালিশ বৈঠক করে অর্থ আদায় করে এ চক্র সমুদয় অর্থ আত্মসাত করেছে।

সভাপতির অবর্তমানে ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মোল্লা আনিচুর রহমান সভাপতির প্রতিনিধিত্ব করলেও তাকে কোন পাত্তা দেয় নাই। এক পর্যায়ে সে অফিস থেকে বের হয়ে যায়।

অভিযোগে তসরুপকৃত অর্থের বিবারনে বলা হয়, সদর উপজেলার বড়বাশবাড়িয়া মসজিদ নির্মানে জটিলতায় একজন দরিদ্র মিস্ত্রির অনুকুলে সালিশের মাধ্যমে আনা ১০ হাজার টাকা, মিজান মিস্ত্রির মারফত আনা ১০ হাজার টাকা, বয়ড়া আলমের মাধ্যমে আনা ৫ হাজার টাকা, নোনাডাঙ্গার জাকির মিস্ত্রীর নিকট থেকে আনা ৫০ হাজার টাকা, তাপস সাহার মিস্ত্রির নিকট থেকে আনা ২০ হাজার টাকা, মজিবর মিস্ত্রির নিকট থেকে নেয়া ২ হাজার টাকা শাহজান মিস্ত্রির নিকট থেকে নেয়া ১০ হাজার টাকা ও একটি মিছিলে যোগদানের জন্য আনা ৩৭ হাজার টাকাসহ অন্যান্য অর্থ। এ চক্রটি শুধু এখানেই থেমে নেই করোনা কালীন ৫৫০ জন শ্রমিকের খানা কার্ড প্রদান বাবদ জন প্রতি ২০০/৩০০ টাকা চাদা আদায়, ফেডারেশনের কার্ড করে দেয়া বাবদ জন প্রতি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে আদায় করেছে। বর্তমান কমিটির ২৫ জনের আইডি কার্ড করার কথা বলেও ১২০০ টাকা ধার্য্য করেছে। যা নিয়ে ইমারত নির্মান শ্রমিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগকারী বাগেরহাট জেলা ইমারত নির্মান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ জামাল চৌধুরী বলেন, আমার অবর্তমানে সাধারন সম্পাদক সহ তার অনুসারিরা ইউনিয়নের অনুকুলের আয় হওয়া অর্থসহ শ্রমিকদের আপদকালীন আদায় করা অর্থও তসরুপ করেছে। সভাপতি হিসাবে হিসাব চাইলে হিসাব না দিয়ে নানা তালবাহান করছে। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে শ্রমিক সদস্যদের বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে অর্থ আত্মসাতকারীদের বিচার দাবী করে জেলা প্রশাসন , পুলিশ সুপার, বাগেরহাট প্রেসক্লাব ও খুলনা শ্রম অধিপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। তবে অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

(ঊষার আলো-এফএসপি)