UsharAlo logo
শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে নদীর ড্রেজিংয়ের বালু ফেলে কৃষি জমি নষ্ট করার অভিযোগ জমির মালিকদের

usharalodesk
মে ৫, ২০২১ ৫:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : জমি অধিগ্রহন বা সাধারন জমি মালিকদের সাথে সমন্বয় না করে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৭ গ্রামের জমি মালিকরা। এর আগে বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তায় মানববন্ধন করেন এ জমি মালিকরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ৭ গ্রামের জমি মালিকদের পক্ষে সুন্দুরতলা গ্রামের মোঃ আলম গাজী। এ সময় উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন হুমাউন কবির, আবু হানিফ ফকির, বিজন কুমার বৈদ্য, ওবায়দুল সরদার সিকদার আবু রেজা মুকুল প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্দর সচল করতে পশুর নদী ড্রেজিং করার প্রকল্প নিয়েছে। ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার জন্য মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৭ গ্রামসহ এলাকার ৭০০ একর জমি ভাড়া নিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট

ঠিকাদারী প্রতিষ্টান থেকে বলা হয়। অথচ জমি মালিকসহ সাধারন কৃষকরা এ বিষয়ে কিছুই জানে না। জমি মালিকদের সাথে সমন্বয় না করে চায়না সিভিল-ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন তাদের ঠিকাদার কাজ শুরু করলে আমরা জমি মালিকরা এ কাজে বাধা দিয়েছি। এ অবস্থায় গত ১৭ এপ্রিল স্বশস্ত্র অবস্থায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গুন্ডরা আমাদের গ্রামে গিয়ে হুমকী- ধামকি দিয়েছে। এ ঘটনা আমরা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাগেরহাট জেলা প্রশাসন ও মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে লিখিত ভাবে জানিয়েছি। পরে জেলা প্রশাসনের হুকুম দখল (এলএ শাখা) শাখা থেকে ২০ ধারায় নোটিশ প্রদান করা হয়। নোটিশের জবাবে আমরা বলে দিয়েছি আমরা কোন ক্ষতি পূরন চাইনা। আমাদের কৃষি জমিতে আমরা ফসল ফলিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে চাই। কারন আমাদের পৈত্রিক এ জমিতে বালু ফেললে আর ফসল হবে না। তাই জীবন দিয়ে হলেও আমাদের কৃষি জমি আমরা রক্ষা করব। প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাব। পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালু ফেলার জন্য জমিসহ বন্দর কর্তৃপক্ষের অনেক জমি রয়েছে। সেখানে বালু ফেললে আরো

খরচ কম হবে বলেও জানান সংবাদ সম্মেলন কারিরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে কিনা? সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, আমরা আমাদের সংসদ সদস্য উপমন্ত্রী , উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন মেয়র কে জানানো হয়েছে। কিন্তু সাধারন জনগনের কথা তারা শোনেনই না। কোন পদক্ষেপ নেয় না। বুধবার কিছু সংখ্যাক জমি- মালিক জেলা প্রশাসকের কাছে আসেন। কৃষদের দেয়া বয়ান শুনেছেন। এখন উপর মহলে এবং সংশ্ল্ধিসঢ়;ট কর্তৃপক্ষকে বিষটি জানানো ববে । তাদের সিদ্ধান্ত পেলেই প্রকল্পকাজ শুরু করা হবে। সংবাদ সম্মেলনের আগে অনুষ্ঠিত মানববন্দন চলাকালে বক্তব্য রাখেন কমরেড ফররুখ হাসান জুয়েল,কমরেড মোঃ নুর আলম শেখ ও কমরেড বেলাল হোসেন বিদ্যা।

(ঊষার আলো-আরএম)