UsharAlo logo
শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সেবিকা রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

koushikkln
মে ৬, ২০২২ ১০:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আরিফুর রহমান, বাগেরহাট : বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স সারাবন তহুরা (২৯) কে হাসপাতালে সামনের রাস্তা থেকে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে খুলনায় নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার মুখে, নাকে, কপালে ও মাথায় আঘাতের রক্তাক্ত চিহ্ন রয়েছে। তবে তিনি কোথায় কিভাবে আহত হয়েছেন বা তাকে কারা কখন হাসপাতালের সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে তা বলতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (০৪ মে) বিকেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনের রাস্তা থেকে নার্স তহুরাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে আইসিইউ’তে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। সারাবন তহুরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তার বাড়ি জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাঁঠালতলা গ্রামে। তিনি হাসপাতালের সরকারি ডরমেটরিতে বসবাস করেন।

বাগেরহাট সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (সুপারিনটেনডেন্ট) ডাঃ অসীম কুমার সমাদ্দার এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬ সালে সারাবন তহুরার হাসপাতালে নার্সের চাকরি হয়। সেই থেকে তিনি জেলা সদর হাসপাতালের সরকারি ডরমেটরিতে থেকে চাকরি করে আসছেন। গত মঙ্গলবার রাতে তহুরা হাসপাতালে ডিউটি করে (রাত আটটা থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত) বুধবার সকাল ৮টায় ডরমেটরিতে ফিরে যান। এরপর তিনি ডরমেটরি থেকে কখন কোথায় বেরিয়েছিলেন তা কেউ বলতে পারছে না। বুধবার বিকেলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনের রাস্তায় সারাবন তহুরাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পথচারিরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত খুলনায় পাঠিয়ে দেন। খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে আইসিইউ’তে নিরীড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা। তিনি আরো বলেন, তার মূখে, নাকে, কপালে ও মাথায় আঘাতের রক্তাক্ত চিহ্ন রয়েছে। তবে তিনি কোথায় কিভাবে আহত হয়েছেন বা তাকে কারা কখন হাসপাতালের সামনের রাস্তায় ফেলে রেখে গেছে তা এখনো জানতে পারিনি। তিনি সুস্থ হলে বিষয়টি জানা যাবে।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে এখনো কিছু জানায়নি। তারা অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে আসল রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা করবে।