ঊষার আলো রিপোর্ট : রাজশাহীর বাঘায় আম বাগান থেকে শামিমা আক্তার সিমা বেগম (৩৫) নামের ১ নারীর লাশ উদ্ধারের ১৫ পর হত্যারহস্য উৎঘাটন করা হয়েছে। হত্যার সাথে জড়িত বজলুর রহমান নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ৬ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোর রাতে ফরিদপুর সদর থানা এলাকা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত বজলুর রহমান পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে, তার বন্ধুর প্রেমিকা ছিলেন নিহত শামিমা আক্তার সিমা। অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় সে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে তাই ২ বন্ধু মিলে সিমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছি।
পুলিশ বলেছে, বাঘা উপজেলার বাজুবাঘা ইউনিয়নের আরিফপুর গ্রামের আতব আলীর মেয়ে শামিমা আক্তার সিমা (৩৫)। সিমার স্বামী সড়ক দূর্ঘটনায় ৩ বছর আগে মারা গেছে। তার পর থেকে সে বাঘা উপজেলা সদরে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। সেই সুবাদে বাঘা বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী ও উপজেলার বাজুবাঘা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে রাজা (২৪) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। অপর আসামী বারখাদিয়া গ্রামের বিচ্ছাদ আলীর ছেলে বজলুর রহমান (৪০)।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আবদুল বারি বলেন, ২৩ মার্চ সকালে শামিমা অক্তার সিমাকে হত্যা করে আরিফপুর মাঠের আরেন আলীর আম বাগানে রেখে যায়। সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময়ে লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন ও মুখে বিষ দেখে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। শামিমা আক্তার সিমার লাশ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ হত্যার রহস্য উদঘটনের চেষ্ঠা চালায় পুলিশ। বজলুর রহমানকে আটকের পর রহস্য উৎঘাটন করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি রাজাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
(ঊষার আলো- এম.এইচ)