ঊষার আলো রিপোর্ট : গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, বাজেটে বৈধ আয়ে কর দিতে হবে ৩০% আর লুটপাট, ব্যাংক ডাকাতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ আয়ে দিতে হবে ১৫%। এভাবে সরকার লুটেরাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এই বাজেট সাধারণ মানুষের জন্য নয়, এ বাজেট আজিজ, বেনজিরের মতো লুটেরাদের জন্য। সংবিধানের ২০নং অনুচ্ছেদে আছে অনুপার্জিত আয় কোনো ব্যক্তি ভোগ করতে পারবে না। তাহলে এক কথায় এই বাজেট ঘুস, দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার সংবিধান বিরোধী বাজেট।
প্রেস ক্লাবের সামনে বক্তব্য শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়,দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল, বিএনপির দলীয় কার্যালয়, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংকির মোড়ে এসে শেষ হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, দুর্নীতি রাষ্ট্রের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে নির্বাচন, ভোট, গণতন্ত্র না থাকায় জবাবদিহিতাহীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর সরকারের জবাবদিহিতা না থাকায় দুর্নীতি এখন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। বলতে গেলে দুর্নীতি এখন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। হাসপাতালের মর্গ থেকে লাশ বের করতেও ঘুস দিতে হয়। সরকারি এমন কোনো দপ্তর ,অফিস নেই যেখানে ঘুস, দুর্নীতি নেই। সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকতে আজিজ-বেনজিরদের তৈরি করেছে। এখন তাদের দায় নিতে চাচ্ছে না। ওবায়দুল কাদের বলেছেন আজিজ-বেনজিররা তাদের লোক না। অথচ আজিজ-বেনজিরদের তারাই প্রমোশন দিতে দিতে সেনাপ্রধান,পুলিশ প্রধান বানিয়েছে।
তিনি বলেন, ৫২, ৬৯,৭১ এমনকি দেশ স্বাধীনের পর ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন; ইতিহাসের সমস্ত আন্দোলন-সংগ্রাম তরুণদের কারণে জয়ী হয়েছে। আজকের এই দুর্নীতিবাজ, লুটেরা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র-যুবকদের জেগে উঠতে হবে। ছাত্র-যুবক-তরুণরা জেগে না উঠলে এই ফ্যাসিস্ট শাসনের পরিবর্তন হবে না। তাই ছাত্র এবং যুব অধিকার পরিষদকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সারা দেশে জনগণকে সংগঠিত করতে হবে।
দলের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, আজিজ-বেনজির এই সরকারের সৃষ্টি। এই কুখ্যাত বেনজির হেফাজতের ওপর শাপলা চত্বরে বর্বরতা চালিয়েছে, আলেম-ওলামাদের রক্তাক্ত করেছেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাসভবনের সামনে বালুভর্তি ট্রাক রেখে তাকে অবরুদ্ধ করেছিলেন। হাজারো মানুষকে নির্যাতন, রক্তাক্ত, গুম করেছেন। অথচ আজকে কোথায় কুখ্যাত বেনজির? দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। ক্ষমতা হারালে আওয়ামী লীগের লুটেরারাও এভাবে দেশ ছেড়ে পালাবে।
তিনি বলেন, এই সরকার বেনজির-আজিজ বান্ধব বাজেট ঘোষণা করেছে। ১৫% কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করার সুযোগ দিয়েছে এই বাজেটে। এই বাজেট ঋণ নির্ভর। বিদ্যুৎ, জ্বালানি খাতে ভর্তুকির বদলে উল্টো দাম বৃদ্ধির ঘোষণা করেছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের কোনো উদ্যোগ নেই। এই বাজেট মরার উপর খাঁড়ার ঘা। আমরা এই আজিজ-বেনজির বান্ধব বাজের প্রত্যাখ্যান করছি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি জাহাঙ্গীর হিরনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সঞ্চালনায় গণবিক্ষোভে আরও বক্তব্য রাখেন- গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, ফাতিমা তাসনিম,বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, সাধারণ সম্পাদক নাদিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান,যুব নেতা ওবায়দুল হোসেন শুভ,জাহিদুল ইসলাম আপেল, জিহাদ হোসেন মিঠু,রাজিব শাহ, শেখ মো. মুনায়েম, শফিকুল ইসলাম শোভন, ছাত্র নেতা সম্রাট প্রমুখ।
ঊষার আলো-এসএ