বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনি
জানা গেছে, জাটকা ইলিশ রক্ষায় ৩০ জুন পর্যন্ত সব ধরনের মাছ শিকারের ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় জেলেদের পুনর্বাসনের আওতায় তাদের মাঝে দু’কিস্তিতে ৪০ কেজি করে মোট ৮০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়। উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায় মন্টুর বিরুদ্ধে কার্ড প্রতি মৎসজীবীদের মাঝে ৮০ কেজির স্থলে ৩৭/৩৮ কেজি করে বিতরণ ও টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যপারে ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৎসজীবী গৌতম রায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন কুমার সাহার কাছে ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায় মন্টুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার অভিযোগ গত ৪ এপ্রিল সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন পরিষদে তিনি চাল আনতে গেলে ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায় মন্টু তার কাছ থেকে খরচ বাবদ ১৫০ টাকা নিয়ে মাষ্টাররোলে স্বাক্ষর নিয়ে ৮০ কেজির স্থলে মাত্র ৩৮ কেজি চাল ধরিয়ে দেন। একইভাবে অন্য জেলেদের কাছ থেকেও খরচের কথা বলে দেড়শত থেকে দুইশত টাকা করে নিয়ে ৩৭/৩৮ কেজি চাল দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য সৈয়দকাঠি ইউনিয়নে মোট ৫৪৪ জন কার্ডধারী উপকারভোগী জেলে রয়েছেন যার মধ্যে ৩১৭ জন ২ নম্বর ওয়ার্ডে।
এ ব্যপারে সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মনোরঞ্জন রায় মন্টুর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এ প্রসঙ্গে বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন কুমার সাহা বলেন,তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।