UsharAlo logo
রবিবার, ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বানারীপাড়ায় ২ কোটি টাকা পৌর কর বকেয়া: উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যাহত

pial
জুন ২৬, ২০২২ ৪:৪৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : বরিশালের বানারীপাড়ায় প্রায় দুই কোটি টাকার পৌর কর (হোল্ডিং ট্যাক্স ) আদায় না হওয়ায় পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকান্ড ব্যহত হচ্ছে।

জানা গেছে, পৌরসভার সিংহভাগ মানুষেরই কর দেওয়ার ব্যপারে অনিহা রয়েছে। ৩ হাজার ৮ শতাধিকের মধ্যে মাত্র তিন শতাধিক মানুষ নিয়মিত তাদের পৌর কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) পরিশোধ করে থাকেন। ১৯৯০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বানারীপাড়া পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেকেই অদ্যবধি পৌরকর দেননি বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ওই সময় একটি প্রভাবশালী মহল পৌরসভা যাতে প্রতিষ্ঠা না হয় সেজন্য আদালতে মামলাও ঠুকে দিয়েছিলেন। মামলা নিষ্পত্তির পরে ১৯৯৯ সালে বানারীপাড়া পৌরসভায় প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, ১৭ জনের কাছেই তাদের ৬০ লক্ষাধিক টাকা পৌরকর বকেয়া রয়েছে। এদের মধ্যে মো. কবির হোসেন মৃধার কাছে ১৬ লাখ টাকা, মো.হায়দার আলীর কাছে ১০ লাখ ২০ হাজার ৭৪৬ টাকা, মো. মনির হোসেন খানের কাছে ৫ লাখ ৪৮ হাজার ২৪৪ টাকা, মোসাম্মৎ শাহনাজ পারভীনের কাছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬০০টাকা, মো. রফিকুল আলমের কাছে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৫৬ টাকা.ডাঃ মো. আব্দুল হাইয়ের কাছে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা, মো. আবুল কালামের কাছে ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা, মো. শামসুল হকের কাছে (কহিনুর) ২ লাখ ১২ হাজার ৫০০টাকা, মো. আলমগীর হোসেন মাঝির কাছে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫০ টাকা, মো. মহসিন আকন ফিরোজের কাছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ২৯৬ টাকা,ডাঃ আঃ গনির কাছে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭০০ টাকা,পলাশ কর্মকারের কাছে ১ লাখ ৩০ হাজার ৫০টাকা, মৃত মো. আনোয়ার হোসেন তালুকদারের কাছে ২ লাখ ২২ হাজার ৯০ টাকা,মো. কবির হোসেন সরদারের কাছে ১ লাখ ২৫ হাজার ৮০০টাকা,কমল স্বর্নকারের কাছে ১ লাখ ৫ হাজার ৪০০ টাকা মো. রুস্তুম আলীর কাছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৩০০ টাকা ও মো. মকবুল হোসেন মৃধার কাছে ১ লাখ ৫ হাজার ৪০০ টাকা পৌরকর পাওনা রয়েছে।

এ বিষয়ে পৌর নির্বাহি কর্মকর্তা শাহিন আকতার জানান, অসংখ্যবার নোটিশ দেওয়ার পাশাপাশি ১৫ পার্সেন্ট কর ছাড়ের ঘোষণা দিয়েও পৌরকর আদায় করা সম্ভব হচ্ছেনা। এ প্রসঙ্গে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল বলেন,এদের কাছ থেকে পৌরকর আদায়ে বিদ্যমান আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

(ঊষার আলো-এফএসপি)